পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রতাত ثانيا ষ্ঠায় সরযুর কাণে লাগিল । সরযুর হৃদয় নচিয়া উঠিল, সংযু আরক্ত মুখ নত করিথা ক্ষণেক দণ্ডায়মান হইলেন । রঘুনাথ পুণরায় বলিলেন-দেবি, বিদায় দিন, কল্য আপনার রাজ প্রাসাদে যাইবেন, এ দরিদ্র সৈনিক পুনরায় নিজ কাৰ্য্যে যাইতে বাসনা করে । এই কথা শুনিয়া সরযু লজ্জা বিশ্বত হইলেন, নয়নদ্বয়ের জল মুছিয়। নারীর মমতাপূর্ণ স্বরে বলিলেন,—আপনি আমাদিগের জন্য যে যত্ন করিয়াছেন, পিতার জন্ত, অামার জন্য যে পরিশ্রম করিয়াছেন, তাহার জন্ত ভগবান আপনাকে যুদ্ধে জয়ী করুন, আপনার মনস্কমেন পূর্ণ করুন। আমরা যে যত্বের কি প্রতিদান করিতে পারি ? রঘুনাথ বিনীত স্বরে উত্তর দিলেন, রাজাদেশে আপনাদিগকে রাজগড়ে নিরাপদে অণিভে পারিয়াছি, এটি আমার পরম ভাগ্য, ইহাতে আমার কিছু গুণ নাই । তথাপি দরিদ্র সৈনিকের ষত্নে যদি তুষ্ট হুইয়া থাকেন, তবে,—তৰে,—এ দরিদ্র সৈনিককে বিস্তুত হইবেন না । কথাটি সরযু বুঝিলেন, মুখখানি অবনত করিলেন। রঘুনাথ তখন লাহল পাইয়া, লজ্জা বিস্মরণ করিয়া কহিতে লাগিলেন,—এ দরিদ্র সৈনিক যদি উচ্চ আশা করিয়া থাকে, আপনি অপরাধ লইবেন না। আপনার পিতা প্রসন্ন চক্ষুতে আমার প্রতি দৃষ্টি করিয়াছেন, ভরসা করি, আপনিও আমার প্রতি অগ্রসর হইবেন না। যদি ভগবান আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন, যদি জীবনের চেষ্টা ও আশা ফলবতী হয়, তৰে একদিন মনের কথা বলিব, সে পর্যন্ত এ দরিদ্র সৈন্তকে এক একবার স্মরণপথে স্থান দিবেন।