পাতা:মহুয়া-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মহুয়া

কোন্ সে পরমা মুক্তি, কোন্ সেই আপনার
দীপ্যমান মহা আবিষ্কার!
প্রভাত-মহিমা ওর সম্বৃত র’য়েছে নিশ্চেতনে,
তাহারি আভাস পাই মনে।
আমি ওই রথশব্দ শুনি,
সোনার বীণার তারে সঙ্গীত আনিছে কোন্ গুণী!
জাগিবে হৃদয়,
ভুবন তাহার হবে বাণীময়;
মানস-কমল একমনা
নবোদিত তপনের করিবে প্রথম অভ্যর্থনা।
জাগিবে নূতন দিবা উজ্জ্বল উল্লাসে
বর্ণে গন্ধে গানে প্রাণে মহোৎসবে তা’র চারিপাশে।
নিরুদ্ধ চেতন হ’তে হবে চ্যুত
লালসা-আবেশে জড়ীভূত
স্বপ্নের শৃঙ্খলপাশ।
বিলুপ্ত করিবে দূরে উন্মুক্ত বাতাস
দুর্ব্বল দীপের গাঢ় বিষতপ্ত কলুষ-নিশ্বাস।
আলোকের জয়ধ্বনি উঠিবে উচ্ছ্বসি’,—
—নাম কি ঊষসী?

নাম্নী, আশ্বিন-ভাদ্র, ১৩৩৫
১২২