পাতা:মহুয়া-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৬৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মহুয়া

যাহা সব-চেয়ে সত্য সব-চেয়ে খেলা যেন তাই,
যেন সে ফাল্গুন কলোল্লাস।
যেন তাহা নিঃসংশয়, মর্ত্ত্যের ম্লানতা যেন নাই,
দেবতার যেন সে উচ্ছ্বাস।
সহজে মিশেছে তাই আত্মভোলা মানুষের সনে
আকাশের আলো আজি গোধূলির রক্তিম লগনে,
বিশ্বের রহস্যলীলা মানুষের উৎসব প্রাঙ্গণে
লভিয়াছে আপন প্রকাশ॥


বাজা তোরা বাজা বাঁশি, মৃদঙ্গ উঠুক্ তালে মেতে
দুরন্ত নাচের নেশা-পাওয়া।
নদীপ্রান্তে তরুগুলি ঐ দেখ্ আছে কান পেতে,
ঐ সূর্য্য চাহে শেষ চাওয়া।
নিবি তোরা তীর্থবারি সে-অনাদি উৎসের প্রবাহে
অনন্তকালের বক্ষ নিমগ্ন করিতে যাহা চাহে
বর্ণে গন্ধে রূপে রসে, তরঙ্গিত সঙ্গীত উৎসাহে
জাগায় প্রাণের মত্ত হাওয়া॥

১৪২