যাবি।’ পয়সা নয়, কণিকা যেন খানিকটা স্নেহ এনে দিয়েছে। মাধববাবু যখন তার বিচার করছিলেন, যাদববাবুর স্ত্রী তার পক্ষ হয়ে একটা কথা বলেন নি বলে নাগার বড় অভিমান হয়েছিল। এখন তার হঠাৎ মনে পড়ে গেল, ভাসুরের সামনে তিনি তো কথা বলতে পারেন না। বাড়াবাড়ি কিছু না করেও যাদববাবুর স্ত্রী এ পর্যন্ত কতভাবে তাকে আদর যত্ন করেছেন; মনে পড়ায় নাগার মনটা কেমন করে উঠল। তাকেও মানুষ তবে ভালবাসে, তার সুখদুঃখের কথা ভাবে! ‘জনিস নাগা, বাবা বড্ড রাগী মানুষ, কিন্তু বেশীক্ষণ বাবার রাগ থাকে না। দেখিস্, কালকেই হয়তো বাবার রাগ পড়ে যাবে, নিজেই তোকে ডেকে পাঠাবেন।’ তখন নাগার মনে হতে লাগল, এটা একেবারেই তাকে তাড়িয়ে দেওয়া নয়, ঘরেরই লোক সে, ঘরের শান্তি বজায় রাখবার জন্য পরামর্শ করে দুদিনের জন্য তাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাত্র।
রূপা বলল, ‘খেদাইয়া দিছে তো? বেশ করছে।’
রূপার মা বলল, ‘ভাত রাধুম না, আর কিছু খাবি বাবা?’
‘আর কি আছে?’
‘আম বুঝি আছে কয়টা আর কিছু চিড়া আছে।’
‘লাড়ু নাই?’
‘হ, লাড়ু আছে।’
‘আমি চিরা আর লাড়ু খামু মামী, ভাত চাই না। কম কইরা দিও।’
রূপা আর রূপার মা দুজনেই অবাক। - ‘কম ক্যান?’
‘ভাত খাইয়া আইছি।’
শুনে রূপার খিলখিল করে সে কি হাসি! হাসির উচ্ছাস তার কিছুতে থামে না দেখে নিজের হাসিমুখ গম্ভীর করে —কে রূপার মার ধমক দিতে হল, মনে পড়িয়ে দিতে হল যে রাতবেরাতে কত কিছু ঘুরে