পাতা:মানসলীলা.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসলীলা । নিভিয়া য়াইবে। লীলা, লীলা, তুমি আমার মানসউদ্যানের অপূৰ্ব্ব পুষ্প তাহাতে জান আমার অন্তরের পারিজাত, যত দেখি তত আনন্দ পাই । আর যদি সেই পারিজাতটকে মানস- উদ্যান হইতে উঠাইয়। জীব জগতে আনি, তাহা হইলে আমার হস্ত-স্পর্শে তাহার স্থকোমল পাপড়িগুলি একে একে খসিয়া পড়িবে, তাহার পবিত্রত মলিনতায় পরিণত হইবে, তাহার প্রস্ফটিত ভাব বিশুষ্ক হইয়া যাইবে । ধ্রুবতারা ! বোঝ, বোঝ। কুর জোড়ে বলি—এই পবিত্র প্রেম বোঝ। তোমাকে পাপভাবে স্পর্শ করিলে তোমায় যে আর পাইব না। তুমি, প্রকৃত তুমি, মনন্তে মিশিয়া যাইবে, আর আমি নিয়ম সংযম হীন হইয়া মর জগতের শত তাড়নায় অধীর হইয়া পড়িব । মানসলীলা—প্রভু, সব বুঝি কিন্তু দুৰ্ব্বল আমি, আমার এতে সাধ মেটে না । আমার মনে হয় তুমি আমার কুল মান সব নাও, অঙ্গে অঙ্গে স্পর্শের মুখে আমায় মাতোয়ার কর । আমি এভাবে আর থাকৃবনা, থাকৃবনা, থাকুবন ।