পাতা:মানসলীলা.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসলীলা । জোয়ারে এখন যেখানেই ভাসিয়া याख' না কেন, মনে রাখিও, এ সন্ন্যাসী-হৃদয় তোমার জন্য পাতা রহিল । যখনই ক্লান্তা, শ্রান্তা, ভ্রান্তা, কুলহারা, প্রাণহারা হইয়া পড়িবে তখনই আসিও, আমার এ মানস-মন্দিরে তোমার যে স্থান সংরক্ষিত আছে তাহা কখনও অন্যের অধিকারে যাইবে না ; লীলা, বুঝিয়াছত ? বুঝিলে ত, লীলা ? এখন যাও, যেখানে নিয়তি লইয়া যাইতেছে তথায় যাও । তবে স্মরণ রাখিও যতদিন না তোমার চেতনা হইতেছে—যতদিন না মনের ভ্রম ও কলুষ বিদূরিত হইতেছে ততদিন আর আমার সাক্ষাৎ পাইবে না । . (স্বগত) হায়, যা’কে এত ভাল বেসেছি, যার আত্মার হিতের তরে দিবানিশি নিজের যোগশান্তি ভঙ্গ করেও ভেবেছি, কেঁদেছি, তাকে এইরূপে বিদায় দিতে হবে কে ভেবেছিল । আজ একটা হৃদয়ের মহাতন্ত্রী কে যেন ছিড়ে নিচ্ছে । .(প্রকাতে) লীলা ! বিদায় ; তোমার শত অপরাধ, শত পাপ আজীবন সহ্য, ক্ষমা ও বহন করিব । ( মীনসলীলার দিকে সজল নয়নে তাকাইয়া চন্দ্ৰজিতের দীর্ঘ • নিশ্বাস ত্যাগ করতঃ উপবনের নিবিড় প্রান্তে প্রবেশ)।