পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভবানন্দের দিল্লী যাত্রা।

জটাজটে অবতার॥ বরমিহ তব তীরে, শরট করট ফিরে, নপুন ভূপতি তব দূরে। রাজ্য লোভে দূরে যাই, তব তীরে রাজ্য পাই, এই মনস্কাম যেন পুরে॥ স্তবে হয়ে তুষ্ট মন, গঙ্গা দিলা দরশন, মজুন্দারে কহেন সরসে। ধন্য তুমি মজুন্দার, ব্রতদাস অন্নদার, আমি ধন্যা তোমার পরশে॥ মহাসুখে দিল্লী যাবে, মনোমতরাজ্য পাবে, মোর তীরে পাবে অধিকার। সন্তান হইবে যত, সবে হবে অনুগত, জনেক হইবে রাজা তার॥ দিয়া এই বরদান, গঙ্গা কৈলা অন্তর্দ্ধান, মজুন্দার হৈলা গঙ্গাপার। কৃষ্ণচন্দ্র নৃপাজ্ঞায়, রায় গুণাকর গায়, অন্নপূর্ণা সহায় যাহার॥


দেশ বিদেশ বর্ণন।

চল চল যাই নীলাচলে। রে অরে ভাই। ঘটাইল
বিধি ভাগ্যবলে॥ মহাপ্রভু জগন্নাথ, সুভদ্রা বলা-
ই সাথ, দেখিব অক্ষয় বটতলে। খাইয়া প্রসাদ
ভাত, মাথায় মুছিব হাত, নাচিব গাইব কুতু
হলে॥ ভবসিন্ধু সিন্দু জানি, পার হৈনু হেন
মানি, সাঁতার খেলিব সিন্ধু জলে॥ দেখিয়া সে
চাঁদমুখ, পাইব কৈবল্য সুখ, সুধন্য ভারত
ভূমণ্ডলে॥ ধ্রু ॥

 গঙ্গা পার হইয়া চলিলা মজুন্দার। ডানি বামে যতগ্রাম কত কব তার॥ জগন্নাথ দেখিতে করিয়া মনোরথ। ধরিলেন মানসিংহ দক্ষিণের পথ॥ গজে মানসিংহ পালকীতে মজুন্দার। ইন্দ্র সঙ্গে যেমন কুবের অবতার॥ এড়ায় মঙ্গল কোট উজানি নগর। খুলনার পুত্র সাধু শ্রীমন্তের ঘর॥ সদাই সরাই ক্রমে গেলা