পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অন্নপূর্ণার মায়া প্রপঞ্চ।
২৫

করেছিনু হজুরে আরজ। নহিলে কহিতে মোর কি ছিল গরজ॥ ভূত বলি দেবীরে সাহেব গালি দিলা। সহরে কহর এত আপনি করিলা॥ এখনো সে বামণেরে কর পরিতোষ। তবে বুঝি ভার দেবী মাপ করে রোষ॥ মানসিংহ রায়ের কথার অনুসারে মজুন্দারে। আনিতে কহিলা দরবারে॥ যোড়হাতে কহে নাজিরের লোক জন। বামণের কাছে যাবে কে আছে এমন॥ মশানেতে শ্মশান করিল যত ভূত। হাতী ঘোড়া উট আদি মরিল বহুত॥ মারা গেল কত শত আমীর উমরা। কেবল তক্তের বক্তে বাঁচিলা তোমরা॥ যমুনার লহর লহুত হৈল লাল। এখন বামণে মান মিটুক জঞ্জাল॥ শুনি জাহাঁগির বড় দিলগির হয়ে মশানে চলিলা ভয়ে দস্তবস্ত হয়ে॥ অন্তরযামিনী দেবী অন্তরে জানিয়া। দয়া হৈল জাহাঁগিরে কাতর দেখিয়া॥ ভূত দেখা বলি ভবানন্দে বন্দী কৈল। বাঞ্ছাকল্পতরু আমি দেখা দিতে হৈল॥ শহরের উপদ্রব বারণ করিয়া। দেখা দিলা জাহাঁগিরে মায়া প্রকাশিয়া॥ আজ্ঞা দিলা কৃষ্ণচন্দ্র রাজরাজেশ্বর রচিলা ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর।


অন্নপূর্ণার মায়া প্রপঞ্চ।

কে তোমা চিনিতে পারে গো মা। বেদে
সীমা দিতে নারে গো মা॥ ধ্রু॥

 রক্ত শতদল তক্তে পাতশা অভয়া। উজির হইলা জয়া নাজির বিজয়া॥ মহাবিদ্যাগণ যত হৈলা পরিবার। আমীর উমরা হৈল যত অবতার॥ বিশ্ব বাড়ী মূরুচা বুরুজ বার রাশি। গোলন্দাজ নবগ্রহ নক্ষত্র সাতাশি॥ বিষ্ণু বক্‌সী ব্রহ্মা কাজী মুনসী মহেশ