পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অন্নপূর্ণার মায়া প্রপঞ্চ।
২৭

তাহাতে কমলদহ অতি সুশোভন। শীতল সুগন্ধ মন্দহ পবন॥ ছয় ঋতু ছয় রাগ ছত্রিশ রাগিণী। মধুকর কোকিল শিখণ্ডী শিখণ্ডিনী॥ এক দল দ্বিদল সহস্র লক্ষ দল। অধোমুখে নানাজাতি ফুটিছে কমল॥ একআদি লক্ষ অন্তদন্ত কর্ণ পায়। উর্দ্ধৃপদে হেটপিঠে হাতী নাচে তায়। তার পিঠে অধঃশিখে অনল জ্বলিছে। মোমের পুতলি তাহে সুরতি খেলিছে॥ উর্দ্ধৃপদে হেটমাথে তাহে নাচে নারী। মৃদঙ্গ মন্দিরা বাজে বিনা বাদ্যকারি॥ সেই রামা চন্দ্রসূর্য্য অঞ্জলি করিয়া। অন্নদার পদে দেই অজপা জপিয়া॥ মৃদুহাসে জল হৈতে অনল তুলিয়া। গিলিয়া উগারে পুনঃ অঞ্জলি করিয়া॥ হাসি হাসি হাই ছাড়ে কি কব যে কাণ্ড। একেবারে খেতে পারে অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড॥ তার পাশে আর এক কমলে কামিনী। গিলিয়া উগারে গজ গজেন্দ্র গামিনী॥ আর দিকে আর পদ্মে এক মধুকর। ছয় পদে ধরিয়াছে ছয় করিবর॥ আর দিকে আর পদ্মে এক মধুকরী। নর সঙ্গে রতিরঙ্গে প্রসবে কেশরী॥ আরদিকে এক পদ্মে নাগিনী কুমারী। অর্দ্ধ অঙ্গ নাগ তার অর্দ্ধঅঙ্গ নারী॥ একবারে এক জন পাতশারে চায়। সবে দেখে সর্ব্বসুদ্ধ ধরি যেন খায়॥ এক বার বিষদৃষ্টে প্রাণ লয় হরি। আর দৃষ্টে প্রাণ দেয় সুধাবৃষ্টি করি॥ ক্ষণে অচেতন হয় ক্ষণে সচেতন। হাসে কাঁদে উঠেপড়ে নমাজে যেমন॥ প্রেমে ভয়ে মোহস্তব করিবারে চায়। মুখে না নিঃসরে বাণী ভূমে গড়ি যায়॥ ভক্ত হৈলা জাহাঁগীর অন্তরে জানিয়া। যত মায়া মহামায়া হরিলা হাসিয়া॥ জ্ঞান পেয়ে জাহাঁগীর প্রাণ পাইল হেন। মজুন্দারে স্তুতি করে দাসু বাসু যেন॥ আজ্ঞা