পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
মানসিংহ।

ইহাঁর মহিমা কিছু কহ নিমা সীমা। কার অধিষ্ঠানে এতই হয় মহিমা॥ জ্ঞানবলে তোমরা আন্ধারে দেখ আলা। চক্ষুকর্ণ আছে মোরা তবু কাণা কালা॥ শুন অরে দাসু বাসু কন মজুন্দার।গঙ্গার প্রভাবে এত মহিমা ইহাঁর॥ ভারতেরে দয়া কর গঙ্গা দয়ামই। এই ছলে গঙ্গার মহিমা কিছু কই॥


গঙ্গা বর্ণন।

 দাসু বাসু কর অবধান। যেই দেব নিরঞ্জন, চিৎস্বরূপী জনার্দ্দন, এই গঙ্গা সেই ভগবান। মহাদেব এক কালে, পঞ্চম খে পঞ্চতালে, গীতে তুষ্ট কৈলা ভগবানে। নারায়ণ দ্রব হৈলা, বিধি কমণ্ডলে লৈলা, বেদব্যাস বর্ণিলা পুরাণে॥ তার কত দিন পরে, বলি ছলিবার তরে, নারায়ণ বামন হইলা। ত্রিপাদ ঘরণী লয়ে, ত্রিবিক্রম রূপ হয়ে, একপদে স্বর্গ আচ্ছাদিলা॥ বিধি সেই পদতলে, পাদ্যদিলা সেইজলে, শিব দিলা জটাজুটে যে বিমল চপলভঙ্গা, সেই জল এই গঙ্গা, এই হেতু বিষ্ণু পদী নাম ত্রিলোকে ত্রিলোক তারা, তিনি হৈলা তিনধারা, স্বর্গ মর্ত্য পাতাল বিশ্রাম। স্বর্গে মন্দাকিনী মন্দা, ভূতলে অলকনন্দা, পাতালেতে ভোগবতী নাম॥ ইনি সে অলকনন্দা, নর লোকে মহানন্দা, ইহাঁরে আনিল ভগীরথ। সগরসন্তান যত, ব্রহ্মশাপে ছিল হত, এই গঙ্গা দিলা মুক্তি পথ॥ শিবজটা মুক্ত হয়ে, ভাগীরথী নাম লয়ে, এথা আসি ত্রিবেণী হইলা। সরস্বতী যমুনারে, মিলাইয়া দুই ধারে, মধ্য ভাগে আপনি রহিলা॥ ভগীরথে লয়ে সঙ্গে, বারাণসী দেখি রঙ্গে, যান গঙ্গা দক্ষিণের বাটে। জহ্নুমুনি পিয়াছিল, কাণে উগারিয়া দিল, জাহ্নবী