পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
ভবানন্দের স্বদেশে উপস্থিত।

শ্বরে দেখিয়া সানন্দ হৈল মন॥ বনভূমি এড়াইয়া রাঢ়ে উপনীত। দেখিয়া দেশের মুখ মহা হরষিত॥ অজয় হইয়া পার করিলা গমন। ডানি বামে যত গ্রাম কে করে গণন। কাটোয়া রহিল বামে গঙ্গার সমীপ। গঙ্গা পার হইয়া পাইলা অগ্রদ্ধীপ॥ গঙ্গা স্নান করিয়া দেখিলা গোপীনাথ। করিলা বিস্তর স্তব করি যোড় হাত॥ সেই খানে নানা সরে ভোজন করিলা। বাড়ীতে সংবাদ দিতে বাসু পাঠাইলা॥ ত্বরা করি আসি বাসু দিল সমাচার। ঠাকুর আইলা জয় করি দরবার॥ রাজাই পাঁইলা ঘড়ী নাগারা নিশান। কি কহিব বিশেষ দেখিবে বিদ্যমান॥ শিরোপ আমারে দেহ যোড় আর শাড়ী। মাথায় বান্ধিয়া আমি আগে যাই বাড়ী॥ শুনি রাম সুমার্দ্দার সীতা ঠাকুরাণী। বাসুরে শিরোপা দিলা যোড় শাড়ী আনি॥ সাধী মাধী দুই দাসী আইল ধাইয়া। সমাচার দিল বাসু নিকটে ডাকিয়া॥ দুই ঠাকুরাণীরে সংবাদ দেহ গিয়া। রাজা হয়ে ঠাকুর আইলা ডঙ্কা দিয়া॥ দুজনার পরিবার দুই শাড়ী লয়ে। আগে আমি ঘরে যাই রাহা চোঙ্গা হয়ে॥ শুভ সমাচার শুনি দুই ঠাকুরাণী। বাসুরে শিরোপা দিলা শাড়ী দুই খানি॥ শাড়ী লয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ী গেল বাসু। দাসুর জননী বলে কোথা মোর দাসু॥ নেচে ফিরে বাসুর রমণী সুখ পেয়ে। চোর হেন দাসুর রমণী রৈল চেয়ে॥ নাগারা নিশান ষড়ী সংযোগ করিয়া। কতগুলি লোক যোগ চাকর রাখিয়া॥ পরদিনে বাসু অগ্রদ্বীপে উত্তরিলা। মজুন্দার নাতবর উকীল রাখিলা॥ লিখাইয়া পঞ্জা ফরমানের নকল। নানামতে সাবধানে রাখিলা আসল। ঢাকায় নবাব তথা পাঠায়