পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মানসিংহ।
৪১

এঁড়ে ডাক॥ সাধী সঙ্গে করিয়া কথার হুটাহুটি। ছোটর নিকটে মাধী গেল ছুটাছুটি॥ কহিছে ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর। দু সতিনা ঘরে দাসী অনর্থের ঘর॥


মাধীকৃত সাধীর নিন্দা।

 কি কর চল তাড়াতাড়ি। গো ছোট মা। তোমার নাম কয়ে, ঠকুরে আনু লয়ে, বড় মা করে কাড়াকাড়ি॥ সে যদি আগে লৈল, সেইত রাণী হৈল, তবেত বড় বাড়াবাড়ি। সে পতিলয়ে রবে, তুমি পাইবে কবে, ঘুচিল শেজি পাড়া পাড়ি। ভুলিয়া তার ভাবে, পতি না তোরে চাবে, কথাওহবে ভাঁড়াভাঁড়ি॥ রান্ধিয়া দিবে ভাত, ফেলাবে আঁটুপাত, ঘুচিল হাত নাড়ানাডি। সাধী হারাম জাদি, এখনি হইল বাদী, করিতে চায় ছাড়াছাড়ি॥ সাধী যে কথা কৈল, মোরে সে শেল রৈল, দিয়াছি খুব ঝাড়াঝাড়ি॥ করিনু যত তন্ত্র, পড়িনু যত মন্ত্র, কন্দলে গেল মাড়া মাড়ি। ঠাকুরে ভুলাইব, তোমারে আনি দিব, আনিয়া গাছ সাঁড়াসাঁড়ি। দু সতিনের ঘর, পতিরে ঘুচে ডর, কন্দলে হয় বাড়াবাড়ি। দুজনে দ্বন্দ্ব করে দাসী আনন্দে চরে, ভারত কহে আড়াআড়ি॥


পতি লয়ে দুই সতিনের ব্যঙ্গোক্তি।

কি হেরিনু অপরূপ রূপের বাজার। রাধা
চন্দ্রাবলী বলে গোবিন্দ সাজার॥ রাধা
পীতধড়া ধরে, চন্দ্রাবলী ধরে করে চৌদি-
গে বেড়িয়া গোপী ষোড়শ হাজার। কে-
হবা মোড়য়ে অঙ্গ, কেহ করে ভুরুভঙ্গ,