পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মানসিংহ।
৪৩

য়াছি কত ঠাট করি। ধরিতে না হৈত প্রভু আনিতেন ধরি॥ এখন ধরিতে চাহি ধরা দিলে পারি। ধরাধরি যার সঙ্গে ধরাধরি তারি॥ তোমার যৌবন আছে তুমি আছ সুয়া। হারায়ে যৌবন আমি হইয়াছি দুয়া॥ সুয়া যদি নিম দেয় সেহ হয় চিনি। দুয়া যদি চিনি দেয় নিম হন তিনি॥ চন্দ্রমুখী কথায় বুঝিয়া আবিষ্কার। ধূর্ত্তপনা করিয়া কহেন মজুন্দার॥ চন্দ্রমুখী তব মুখ চন্দ্রের উদয়। পদ্মমুখী পদ্মমুখ প্রকাশ কি হয়॥ ক্ষণেক বদন চন্দ্র ঢাকহ অম্বরে। শুন দেখি পদ্ম মুখী উত্তর কি করে॥ চন্দ্রমুখী কহে প্রভু গিয়াছে সে দিন। এখন পদ্মেরে দেখে চন্দ্রমা মলিন॥ মজুন্দার কন প্রিয়ে এমন কি হয়। চন্দ্র পদ্মে যে সম্বন্ধ কভু মিথ্যা নয়॥ হাসি চন্দ্রমুখী মুখে ঝাপিলা অম্বর। পদ্মমুখী মুখপদ্মে হৈলা মধুকর। ভারত কহিছে ধন্য ধূর্ত্ত মজুন্দার। সমান রাখিলা মান জ্যেষ্ঠা কনিষ্ঠার॥


ভবানন্দের উভয় রাণী সম্ভোগ।

 সোহাগে হইয়া সুখী, ঘরে গেলা পদ্মমুখী, মজুন্দার বড় ঘরে গেলা। কোলে লয়ে বড় নারী, করি তার মনোহারি, ক্ষণেক করিলা কাম খেলা॥ ছেলে পিলে নিদ্রা গেলা, চন্দ্রমুখী লয়ে খেলা, রাত্রি হৈল দ্বিতীয় প্রহর। যাইতে ছোটর কাছে, মনের বাসনা আছে, সমাপিলা বড়র বাসর॥ প্রোষিত ভর্তৃকা হয়ে, দুহে ছিলা দুঃখ সয়ে, আমা দেখি বাসসজ্জা হৈলা॥ কার ঘরে যাব আগে, উৎকণ্ঠিতা এই রাগে, দেহুড়ীতে অভিসার কৈলা॥ কারো ঘরে নাহি গিয়া, রহিলাম দাঁড়াইয়া, বিপ্রলব্ধা হইলা দুজনে। এখন ইহারে লয়ে, থাকিলাম সুখী হয়ে, পদ্মমুখী কি