মালে করে মালাম চোয়াড়ে লোফে কাঁড়॥ আগে পাছে দুই পাশে দুসারি লস্কর। চলিলেন মানসিংহ যশোর নগর॥ মজুন্দারে সঙ্গে নিলা ঘোড়া চূড়াইয়া। কাছে কাছে অশেষ বিশেষ জিজ্ঞাসিয়া। এই রূপে যশোর নগর উত্তরিয়া। থানা দিলা চারি দিকে মূরুচা করিয়া॥ শিষ্টাচার মত আগে দিলা সমাচার। পাঠাইয়া ফরমান বেড়ী তল বার॥ প্রতাপ আদিত্য রাজা তল বার লয়ে। বেড়ী ফিরা পাঠাইয়া পাঠাইল কয়ে॥ কহ গিয়া অরে চর মানসিংহ রায়ে। বেড়ী দেউক আপনার মনিবের পায়ে॥ লইলাম তলবার কহ গিয়া তারে। যমুনার জলে ধুব এই তলবারে॥ শুনি মানসিংহ সাজে করিতে সমর। রচিলা ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর॥
ধূধূ ধুধু ধূ নৌবত বাজে। ঘন ভোরঙ্গ ভম ভম,
দমামা দমদম, ঝনন্ন ঝম ঝম ঝাঁজে॥ কত
নিশান ফরফর, নিনাদ ধরধর, কামান গর গর
গাজে। সব জুবান রজপুত, পাঠান মজবুত,
কামান শরযুত সাজে॥ ধরি অনেক প্রহরণ,
জরীর পহিরণ, সিফাইগণ রণমাঝে। পরি করা-
ইব খতর, পোশাক বহুতর, সুশোভিত শিরপর
তাজে॥ বসি অমারি ঘর পর, আমীর বহুতর,
হুলায় গজবররাজে। পুর যশোর চমকত, নকীব
শতশত, হুঁসার ফুকরত কাজে॥ হয় গজের গর
জন, সেনার তরজন, পয়োধি ভরছন লাজে।