পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

किकि গেল রেবতীর সঙ্গে। বয়েসের তুলনায় কি প্ৰকাণ্ড তখন আমার দেহ, কত পরিণত মন-কারো স্ত্রীর সঙ্গে ভাব হওয়াটাই তখন আমার পক্ষে পরমাশ্চর্ষ। অথচ রেবতীর সঙ্গে সারাদিন এত বেশী কড়ি আর তাস খেলতাম যে ইতিহাসের প্রফেসরের স্ত্রী অভিমানে আমার সঙ্গে ভাল করে কথাই বলত না । তাতে আমার সুবিধাই ছিল। আমায় যে ভালবাসে তার সঙ্গে কথা বলতে আমার বড় কষ্ট হয়। মনে হয়, শব্দ দিয়ে অনেক দামী কি যেন আদায় করে নিচ্ছি। আমি রেবতীর সঙ্গে কড়ি খেলি, জ্যোতিষার্ণব দু’বার ঘুরে গিয়ে তৃতীয়বার কাছে এসে উবু হয়ে বসে। “দেখি হে ছোকরা তোমার হাতটা ! আরে বাস রে, এ কি হাত, এত হিজি-বিজি রেখা পেলে কোথায় ? ভাল করে দেখতে হবে তা হাতটা তোমার। বঁাচবে অনেকদিন, তবে-’ 6ब्रदर्डी अभिांद्र शांड 6कg cनम्र । “খুব হয়েছে, ছেলেমানুষকে ভয় না দেখালেও চলবে।” অন্দর থেকে বেরিয়ে যাবার সময় গণনালয়ে জ্যোতিষার্ণব আমায় পাকড়াও করে, শোনায় ভূতের গল্প। প্ৰথমে কান দিয়ে আরম্ভ করে শেষে লোমকুপগুলিকেও শোনার কাজে লাগিয়ে দিই। ক্ষুধাতৃষ্ণার তাগিদটা চাপা পড়ে যায়, তাকিয়ে দেখি রেবতী এসে আলমারির পাশের ফাকটাতে দাড়িয়ে আছে। জ্যোতিষার্ণবের গল্প শেষ হতে বলি “আরেকটা ।” রেবতী মান মুখে চুপ করে থাকে। জ্যোতিষার্ণব হাসির ভান করে বলে, “এ বাড়ির টিকটিকিগুলি যদি মেরে ফ্যালো, তাহলে বলব। একটা টিকটিকির জন্যে একটা গল্প। এ ঘরেই তি डिन अicछ, लांbिों हिम भांद्र ना qको ।' আমি বলি, “লাঠি দিয়ে বুঝি টিকটিকি মারে ? দাঁড়ান, আমার তীর ধনুক নিয়ে আসি ।” রেবতী বলে, “মানিক, মেরো না, টিকটিকি মারতে নেই।” আমি একটু দাড়াই। হিসাব করে দেখি যে, রেবতীর মত মেয়ে যখন একবার আমাকে ভালবেসেছে, কথা না শুনলেও ভাল না বেসে সে পারবে না, আমার সঙ্গে কড়ি আর পাতাবিন্তি খেলবার জন্য সে যে রকম পাগল হয়ে উঠেছে, সে

  • «o frys Vortifik o