পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fશનોઃ و)S সবিতা তাতে আর কোন অংশ গ্ৰহণ করে নি। কাল আমাদের মধ্যে যে ব্যাপার ঘটেছিল, চাপড়া চাপড়া রঙ চড়িয়েও তাকে দাম্পত্য কলহ কোনমতেই বলা यु क्र ! সবিতাকে কাল আমি করেছিলাম শাসন। মনের মধ্যে তীব্র বিদ্বেষ নিয়ে অত্যন্ত হিংস্রভাবেই ওকে কাল আক্রমণ করেছিলাম। যা মুখে এসেছে অবাধে কাল তাই সবিতাকে বলেছিলাম। যে বিশেষণ যত বেশী রূঢ়, যত বেশী কদৰ্য মনে হয়েছে, তাই দিয়ে ওকে অভিহিত করে। কাল আমার আনন্দ হয়েছে তত বেশী । মেয়েদের একেবারে মৰ্মে গিয়ে আঘাত করে মানুষের ভাষায় এমন শব্দ যত আছে তার একটিও কাল বোধ হয় ব্যবহার করতে বাকী রাখিনি। শেষে রাগ সামলাতে না পেরে পায়ের এক পাটি চটি জুতো ওকে ছুড়ে মেরেছিলাম। সেইখানেই ইতি । দুহাতে চোখে আঁচল৷ চাপা দিয়ে সবিতা তখন কঁদেছিল। চটিটা সজোরে তার কান্নায় ফুলে ওঠা বুকে গিয়ে লাগল। চোখ থেকে আঁচল সরিয়ে সবিতা তখন একবাব জুতোটার দিকে একবার আমার মুখের দিকে তাকিয়েছিল। দুচোখ তার জলে ভরপুর, সবিতা কি দেখেছিল বলতে পারব না। কিন্তু তার মুখের যে ভাব দেখেছিলাম এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে। তবু, রাত্রে গাঢ় ঘুম হতে বাধা হয় নি। সবিতাকে শাসন করার জন্য না। হোক, জুতা খেয়ে তার অবর্ণনীয় মুখভঙ্গী দেখার জন্যও না হোক, যে কারণে কাল ওরকম ক্ষেপে গিয়ে স্ত্রীকে শাসন করেছিলাম। সারারাত কণ্টকশয্যায়। তাকে জাগিয়ে রাখার পক্ষে তাই কি যথেষ্ট ছিল না ? এই মাত্ৰ মনের মধ্যে যে নিবিড শান্তি অনুভব করছিলাম তা স্মরণ করে অবাক হয়ে গেলাম। স্ত্রীর চরিত্রে সন্দেহ করে যে স্বামী রাত্রে স্ত্রীকে চটিজুতো ছুড়ে মারে, সারারাত অঘোরে ঘুমিয়ে সকালে চোখ মেলেই কি করে সে অত আরাম বোধ করে ? পৃথিবীতে শীতের আমেজ এসেছে টের পেয়ে উল্লসিত হয়ে ওঠে ? ঘুম ভেঙেই আমার অনুতপ্ত হয়ে ওঠা উচিত ছিল । কাল বাড়াবাড়ি করেছিলাম। বইকি ! নিছক একটা সন্দেহের উপর অত কাণ্ড করার কোন সমর্থনই শান্ত মনে কথাটা ভেবে দেখতে গেলে খুঁজে বার করা যায় না। স্ত্রীকে অবশ্য মাঝে মাঝে শাসন করা ভাল । বড় পাজী জাত। কেবল আদর দিলে একেবারে মাথায় উঠে যায়। কিন্তু শাসনের যে একটা মাত্রা থাকা দরকার, এটা O artfiy Vytetoti o