পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विeौक ቅ§ግ অস্বীকার করব কেন ? সবিতাকে ত কম ভালবাসি না । এই যে দশটা থেকে পাঁচটা অবধি আপিসে কলম পিষে মরি, সে কার জন্য ? সবিতার জন্য নয় কি ! ওর ভালর জন্যই ওকে মাঝে মাঝে শাসন করা প্রয়োজন। কাল কিছু না বলে চুপ করে থাকলে শেষ পর্যন্ত ওরই ত ক্ষতি হ’ত! নিজের ভালমন্দ মানুষ সব সময় বুঝতে পারে না। বিশেষতঃ মেয়েমানুষ। ভুল-ত্রুটি দেখিয়ে দিলে, ভুল সংশোধনের জন্য একটু বকলে তাতে ওদের মঙ্গলই হয়। কিন্তু অতটা না করলেই হ’ত। অন্ততঃ ঘুমিয়ে পড়ার আগে সহজভাবে ওর কাছে একগ্লাস জলটল চেয়ে নিয়ে অথবা পা কামড়াচ্ছে বলে দুচার মিনিট ওকে একটু সেবা করতে দিয়ে ব্যাপারটা স্বাভাবিকতার স্তরে নামিয়ে আনলে কোন ক্ষতিই ছিল না । পাশ ফিরলাম। তাকিয়ে দেখি, সবিতাকে ছুড়ে মারা জুতোর পাটিটা কাল রাত্রে যেখানে পড়েছিল, সেইখানেই এখনও পড়ে আছে। মনে হল, এতক্ষণে আমার যেন সত্যসত্যই একটু অনুতাপ হচ্ছে। কিন্তু সান্তুনা খুজে নিতেও দেরি হল না। যা’’ হবার হয়ে গিয়েছে। হাত থেকে খসে যাওয়া ঢ়িল আর আর মুখ থেকে খসে যাওয়া কথার মত আর ফিরবে না । দুঃখ বা অনুতাপ করে লাভ নেই। শুয়ে শুয়ে আরাম করাটা আজ আর কপালে হল না। উঠে গিয়ে সবিতাকে একটু খুশী করতে ठू८द । সবিতাকে একটু খুশী করার জন্য কি পদ্ধতি অবলম্বন করব। শুয়ে শুয়ে তাই ভাবতে লাগিলাম। ক্ষমাটম চাইতে পারব না। স্ত্রীর কাছে দুঃখ প্ৰকাশ, মার্জনা ভিক্ষা,- এসব আমার ধাতে নেই। ভাবলেও কি রকম সঙ্কোচ বোধ হয়, বাধোবাধে ঠেকে। কাল রাত্রের কথাটা উখাপনই করব না। কাল যেন সবিতাকে কিছু বলিনি এমনি একটা অভিনয় করে যাব। প্ৰতিদিন যেমন চটি ফটর ফন্টর করে নিচে নামি আজও তেমনি শব্দ করে নিচে নামৰ, কলতলায় গলা খাকরে মুখ ধোব। সাড়া পেয়ে উনান থেকে হাড়ি নামিয়ে সবিতা চায়ের কেটলি চাপিয়ে দেবে, কিন্তু মুখ ধুয়ে আজ আর দোতলায় উঠে যাব না। একেবারে রান্নাঘরে হাজির হয়ে নিজেই একটা আসন টেনে নিয়ে বসব। গভীর মুখে নয়, মুখখানা বেশ হাসি হাসি করে। সবিতা বিষন্নতা ও অভিমানে নিজেকে আচ্ছন্ন ও নির্বাক করে সামনে খাবার দিলে খেতে খেতে একথা বলব, সেকথা e -fitfire is a