পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাকালের জটার জেট SS শাশুড়ীর প্রশ্নের জবাবে সে মৃদুস্বরে বলিল, “জানিনে মা ! ও বাড়ির পঞ্চ ছাড়া *ांकूद्रविड कब्रिe गcश कथा कम्र न।' শুনিয়া সরমা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিলেন। পঞ্চঃ ছেলে মানুষ, স্কুলে পড়ে। সরমার ছোট ছেলেটি বঁচিয়া থাকিলে অত বড়ই হইত এতদিনে। সুচিত্রার বিকৃত মনে এই ভাইটির জন্য কেমন করিয়া একটা আশ্চৰ্য প্ৰথর মমতা জন্সিয়াছিল, খুব সম্ভব সে ভালবাসাই এখন পাশের বাড়ির গভীর প্রকৃতি ছেলেটির উপর পড়িয়াছে; পাগল মেয়ের অন্ধ উগ্র ভালবাসা। প্রকাশটি বিচিত্র। পাচুর স্কুল বন্ধ থাকার দিনটির প্রতীক্ষায় স্বচিত্রা ছটফট করে, অন্যদিন তার কাছে পাচুর বেশীক্ষণ থাকা নিষেধ, তাড়াতাড়ি লেখাপড়া শিখিয়া পাচু মানুষ হোক সুচিত্রার এই আগ্ৰহ একেবারে নিষ্ঠুর। ছুটির দিন দুপুরটা পাচু তার কাছে থাকে। সকালে পঞ্চর পড়া চাই, বেশ মনোযোগ দিয়া পড়া চাই, সুচিত্রার মাথার দিব্যি। খাওয়াদাওয়ার পর এগারটা কি বারটার সময় সলজভাবে পঞ্চ আসিয়া দাঁড়ানমাত্র তাহাকে ভিতরে নিয়া গিয়া সুচিত্রা ঘরে দুয়ার দেয়। পাঁচটা অবধি ছেলেটিকে লইয়া হাসিয়া-কঁাদিয়া সোহাগ করিয়াও তারা যেন তৃপ্তি হয় না। ভাঙা ভাঙা কথা তাহার এমনিই দুর্বোধ্য, পঞ্চুকে সোহাগ করিবার সময় তাহা এত বেশী জড়াইয়া যায় যে বাহির হইতে শুনিলে মানে বুঝা যায় না। কিন্তু সুরাটা এমন করুণ যে চোখে জল আনিয়া দেয় । যাদবের বড় ছেলে সতীশ মানমুখে সরমার মুখের দিকে চাহিয়া ছিল, সরম্যাকে চোখ মুছিতে দেখিয়া সে আর আত্মসম্বরণ করিতে পারিল না। “মিছামিছি কেন কঁদছেন মাসীম ? ওর কথার কি কোন দাম আছে ?” সতীশের চোখ ছলছল করিতে লাগিল। সারমার চোখে-মুখে ব্যথা আরও ঘনীভূত হইয়া আসিল। সতীশের সহানুভূতি তার সহ হয় না। বুকের মধ্যে কেমন করে । সতীশ আবার বলিল, “আপনার হার্ট দুর্বল, এরকম অধীর दवन नों भांौभों।' সরমা শ্বাস টানিয়া বলিলেন, “আমার বুক ধড়ফড় করছে সতীশ ।” সতীশ ধমকাইয়া উঠিল, “বুক ধড়ফড় করছে। এরা দেখছি আপনাকে বঁাচতেই দেবে না মাসীমা। চলুন, আপনি একটু শুয়ে থাকবেন।” ‘এইখানে একটু বসি, সতীশ।’ “সে হবে না। মাসীমা, আপনাকে শুতে হবে ? সতীশ ঘরে ঢুকিয়া মাদুর ও v-fifts to bo