পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 মহাকালের জটায় জট বালিশ আনিয়া বিছাইয়া দিল। সারমা মানভাবে একটু হাসিলেন। মমতায় ছেলেটা পাগল। ওর চোখের দিকে তাকাইতেও যেন ভয় করে। হেমন্ত ছোট ছেলে, সুলতার স্বামী। ঝড়ের মত বাড়িতে ঢুকিয়া সে বলিল, “ব্যাটাদের আচ্ছা করে গালাগালি দিয়ে এলাম, মামা । পাগল মেয়ে দেখতে এসে পাগলামি দেখে হাসবে, এ কি ইয়াকি নাকি ?” সুলতা ঘোমটা একটু টানিয়া দিল, লজ্জায় নয়, মুখের ভাব গোপন করিবার জন্য। সুমিত্ৰা হাসিয়া বলিল, ‘হঁ্যা দাদা, রাস্তায় ভিড় জন্মেছিল ? গালাগালি শুনে পথের লোক প্রাণভরে খুব হেসেছিল ?” অযথা পরিমাণে হাসিতে হাসিতে মাথা নাড়িয়া হেমন্ত বলিল, “না, হাসবে কেন ?” সুলতা তীব্ৰ চাপা গলায় সুমিত্রাকে বলিল, “বল না, মেজো ঠাকুরবি, ওঁর ভঙ্গী দেখে আমাদের সকলের হাসি পাচ্ছে, পথের লোক হাসি চেপে রাখবে কোন te I” ‘ও বাবা ! ও কথা বলি আর বুডো বয়সে পিট্টি খেয়ে মরি। আর কি ! বলতে হয় তুমি বল।’ বলিয়া সুমিত্ৰা মুখ বাকাইল। সুমিত্রার বিবাহ হয় নাই। তার বিবাহ আগামী শ্রাবণে । সুলতা মৃদুস্বরে বলিল, “বলার অধিকার আমারি পুরো বটে।’ যাদব আনমনে সুলতার নিকটে সরিয়া আসিয়াছিলেন। সুলতার কথাগুলি তিনি শুনিতে পাইলেন। হেমন্তকে তঁর কিছু বলিতে সাহস হয় না, কিন্তু সুলতার ইচ্ছা তার ভীরুতার চেয়ে বডো। মুখখানা যথাসম্ভব গম্ভীর করিয়া হেমন্তকে উদ্দেশ করিয়া তিনি বলিলেন, “এ দুৰ্বন্ধি আবার তোমার মাথায় চাপল কেন হেমন্ত ? রাস্তায় দাডিয়ে ভদ্রলোককে গাল দেবার বয়স তোমার পার হয়ে গেছে বাপু ।” এক মুহুর্তে ক্রুদ্ধ হইয়া উদ্ধতভাবে হেমন্ত জবাব দিল, “তই যদি গিয়ে থাকে, আপনার উপদেশ শোনবার বয়সও বোধ হয় আমার পার হয়ে গেছে șţși l” ও আচ্ছা।” বলিয়া যাদব মুখ ফিরাইয়া নিলেন। দেখিতে পাইলেন সুলতা অনভ্যন্ত দ্রুতপদে ঘরের দিকে চলিতে আরম্ভ করিয়াছে। নিজের দাড়িকে যাদব জোয়ে মুচড়াইয়া দিলেন। ভাবিলেন, একালের মেয়েয়া সেকালের মেয়ের মতই é fr crito o