পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাকালোয় জন্টার জন্ট S: আছে, কিন্তু ছেলেগুলি হইয়াছে উদ্ধত, দুবিনীত, পাষণ্ড । ইহাদের ধ্বন্ধিয় চাবাঁকানো উচিত। ইহাদের মৃত্যু হইলে পৃথিবীর মঙ্গল। যাদবের বুকের মধ্যে তীক্ষ্ম ঘা লাগিল। সুলতার খুব শুভাকাঙ্ক্ষী ত তিনি! দাড়ি আর তিনি মুচুড়াইলেন না, হঠাৎ রাগের বশে যাহা ভাবিয়া বলিয়াছেন মনে মনে তাহারি জন্য অনুতাপ করিতে লাগিলেন। 来源 崭 柴 * 拳 睿 ও বাড়ির ছাদের কানিশে একটা চিল আসিয়া বসিয়াছে। পিঠ তাহার রোদে পুড়িয়া গেল, বুকে কিন্তু নিজের দেহেরই ছায়া। এ বাড়ির ছাদে চিলেকুঠির ছায়ায় বসিয়া হেমন্ত আকাশে ঘুড়ি উড়াইতেছে। ঘরের জানাল দিয়া একটা সুদূর সাদা মেঘের গায়ে দুৰ্লক্ষ্য কালো বিন্দুর মত স্বামীর ঘুড়িটা সুলতার চােখে পড়িল। তাহার মুখ মান হইয়া গেল। আজ সে বাপের বাড়ি যাইবে, আজিকার দিনেই ছাদে গিয়া হেমন্ত ঘুড়ি উড়াইতে বসিয়াছে এ জন্য নয়, স্বামীর এই ছেলেমানুষিয় পরিচয়ে তাহার চিন্তা যে জীবনের সীমা পার হইয়া স্বৰ্গীয় পিতার নিকট উপস্থিত হইল, ইহায় আতঙ্কে । এখন এভাবে বাবার কথা ভাবিতে আরম্ভ করিলে বিকাল পৰ্যন্ত তার সময় কাটিবে কি করিয়া ? বাবাকে সুলতা বড় ভালবাসিত। সতরো বছর বয়স পৰ্যন্ত পিতার মেহের মূল্যে নিজের সমস্ত জীবনটা সে বিলাইয়া দিয়াছে, গাঢ় সুমিষ্ট মধুর তলে তারা যেন আকণ্ঠ সমাধি। তুলিয়া আনা সত্বেও মধুপাত্রে নিমজ্জিত মক্ষিকার মত এখনো লে। মধুর বন্ধন সর্বাঙ্গে জড়াইয়া আছে। এবং তারি। ফলে অনড় আচল স্থবির তাহার জীবন, অচেনা অনাত্মীয় মানুষের মধ্যে তাই তার একা বঁচিয়া থাকা । বাবাকে মনে পড়িলে এই বৃন্তচু্যুতির অনুভূতি সুলতার অসহ্য হইয়া উঠে। মনে হয়, জীবনে পাড়ি জমাইবার জন্য ছোট একটা ডিঙিতে তাহাকে তুলিয়া দিয়া জাহাজ নিয়া পিতা তাহার চিরদিনের জন্য নাগালের বাহিরে চলিয়া গিয়াছেন,-এ ডিঙি সামনেও আগায় না ডুবিতেও চায় না, এ পারের তীরের কাছে অল্প ঢেউয়ে টলমল করে। বাস্তবিক, জীবন এখানে এমন অগভীর ষে খেয়া-ডিঙি চড়ার বালিতে ঠেকিয়া গিয়াছে বলিয়াই সুলতা সন্দেহ করে। হেমন্তর অপরাধ নাই, তার প্রকৃতিই ওই রকম। সে যেন বয়স্ক শিশু, দায়িত্বজ্ঞানহীন নিৰ্যোধ। ওর জন্য কতদিন লােজায় সুলতার মাথা কাটা গিয়াছে e V-fifts po