পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাকালের জটার জন্ট এলাম। ছেলের দল থেকে তুমি বড় তফাত হয়ে গিয়েছ ভাই। কিন্তু ঠাকুরবির জন্য স্কুল কামাই করলে, আমার জন্য পার না ?” স্বচিত্রার স্নেহের মৰ্যাদা রাখা যেন অপরাধ এমনিভাবে পঞ্চ হাসিবার চেষ্টা করিল। সুলতা সহসা গম্ভীর হইয়া বলিল, “তোমার হাসি দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে, মুখে যেন জ্যোতি নেই। খেলাধুলা কর না বুঝি? অল্প বয়সে এত বড়ো হয়ে গেলে, বেশী বয়সে বঁাচবে কি করে পণ্ডু ?” সরমা কতকগুলি কারুকাৰ্যখচিত কঁথা সেলাই করিয়া দিয়াছিলেন, সেগুলি ভঁাজ করিয়া ট্রাঙ্কে ভরিয়া সুলতা আবার বলিল, “এই বয়সে তুমি বুড়ো হয়ে গেছ, আর বুড়ে বয়সে ও কত ছেলেমানুষ, জানাল দিয়ে একবার তাকিয়ে দেখো ভাই। আমি আজ চলে যাব, ঘুড়ি দিয়ে উনি তাই মেঘ শিকার করছেন।” “আপনি বারণ করেন না কেন ? ‘বারণ করলে কে শুনছে ?” “আপনার বারণ শোনে না। ’ বৌ বারণ করিলে কথা শোনে না। এরকম মানুষ যে পৃথিবীতে থাকিতে পারে পষ্ণুর এ ধারণা ছিল না। কথা না। রাখিলে বৌ কঁাদে, বৌয়ের কান্না হেমন্ত সয় কি করিয়া ? “আপনি খুব কঁাদেন না কেন ?” ‘ওমা, কঁাদব কি জন্য ? পষ্ণু আরও অবাক হইয়া গেল। ব্যাপারটা সে ঠিক বুঝিতে পারিতেছে না! এমন সময় সুচিত্রাকে আসিতে দেখা গেল। সুলতা বলিল, “তোমার দিদি আসছে পষ্ণু।” ঘরে পা দিয়া কথাটা কানে যাইতেই সুচিত্ৰা চটিয়া উঠিল। ‘গেয়ে মেয়ের মত কি ঠাট্ৰাই যে তুমি কর বৌদি। অন্য ননদ হলে গালে cांनों भांब्रड । छेि छेि, \s कथi दलcड अicछ ? সুলতা ভয়ে ভয়ে বলিল “আর বলবনা ঠাকুরবি ।” সুচিত্রা এ কথা শুনিতে পাইল না। হঠাৎ তার মনে একটা নূতন খেয়াল জাগিয়াছে। মুখের উপর হইতে রুক্ষ চুলের রাশি সরাইয়া একাগ্ৰদূষ্টিতে সে সুলতার সিথির দিকে চাহিয়া রহিল। সে দৃষ্টি দেখিয়া সুলতা দারুণ অস্বস্তি বোধ कब्रििटङ अञ्जि । o fits ve