পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ እb” মহাকালের জটার জটি ‘অমন করে চেয়ে কি দেখছি ঠাকুরবি ? সুচিত্রার যেন চমক ভাঙিল। লজ্জা ও বেদনায় অপরূপ মুখভঙ্গী করিয়া সে বলিল, “আজ পর্যন্ত এ ত আমার মনেই পড়েনি বৌদি! দেখেছি মেয়েমানুষের মন ? কি লজ্জা, মাগো ।” পষ্ণুকে বলিল, “আমার ঘরে গিয়ে একটু বসগে যাও তাঁ। আমি এখনি আসছি।” অত্যন্ত নির্বোধের মত মুখ করিয়া পধু সরিয়া গেল। সুলতার পাশে বসিয়া নালিশের সুরে সুচিত্রা বলিল, “তুমিও তা এতদিন মনে করে দাওনি বৌদি ? “কি মনে করে দিইনি ভাই ।” নিজের সিথি নির্দেশ করিয়া সুচিত্ৰা বলিল, ‘সিন্দুর পরার কথা। দেখা দিকি, এই অমঙ্গলের ধ্বজা উড়িয়ে, এয়োস্ত্রী মানুষ আমি সকলের সামনে বা’র হয়েছি । তোমাদের কি চোখ নেই ? সুলতা তাহার সিথি আবিষ্কার করিতে পারিল না, এলোমেলো চুলের নিচে চাপা পড়িয়া গিয়াছে। অস্তিত্বহীন কাল্পনিক স্বামীর মত এও যেন পাগল মেয়েটার কৌতুক । “দাও বৌদি আমায় সিন্দুর পরিয়ে দাও।” ‘আজ থাক ঠাকুরবি, ভালো দিন দেখে পরে।” 'না, আজকেই দাও । হাতে নোয়া নেই, শাখা নেই, একটু সিঁদুরও পারব না ? এমন করলে ও আমায় ত্যাগ করবে। সারা গায়ে এত অমঙ্গলের চিহ্ন কি কেউ সইতে পারে ? আগে চুল আঁচড়ে বেঁধে দিই, তারপর সিঁদুর পরবে। গা ধুয়ে শুদ্ধ হয়ে সিদুর পরতে হয়। ঠাকুরবিন্ধ।” সুলতাও যেন পাগল। কুমারী মেয়ের কপালে খানিকটা লাল ওঁড়া লাগাইতে তার আপত্তির অন্ত নাই। এ বিষয়ে তার মনে উদারতার একান্ত অভাব। এয়োতির চিহ্ন নিয়া ছেলেখেলা সে ভালবাসে না । সুচিত্র অধীর হইয়া বলিল, “আমার অত সময় নেই বৌদি এখনি পরিয়ে দাও, বেশী বাহাদুরি তোমার না করলেও চলবে।” না দিয়া উপায় নাই। সুলত সিঁদুরের কোটা খুলিয়া আনিল। টিপ পরাইয়া o af Kotvtka o