পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 भशांकांव्द्र खाँांद्र छॉं কয়েকদিনের শোকেই শীর্ণ বিবৰ্ণ হইয়া গিয়াছে। স্বাভাবিক সুরে কথা বলিবার চেষ্টা আজই বোধ হয় তাহার প্রথম। ‘বুকটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে ভাই। এত জল খেয়েছি তা বলবার নয়, তাঁবুতেষ্টা মিটছে না। এমন ঘুমেও ধরেছে আজ, সারাদিন কেবল ঢুলেছি।” সুলতা সায় দিয়া বলিল, “শরীরের ওপরে অত্যাচার ত কম হয়নি।’ 'না, তা হয়নি।’ মনোরমা একটা রঙীন উলের টুপি হাতে তুলিয়া নিল। উদাসভাবে বলিল, “কিন্তু তাছাড়া আমার বাঁচবার উপায় ছিল না ভাই। বুক ফেট মরে যেতাম। খোকা ত শুধু আমার ছেলে হয়ে আসেনি ; ওর মধ্যে আমি বন্ধু পেয়েছিলাম, সাখী পেয়েছিলাম, প্রেমিক পেয়েছিলাম। বিয়ের পর উনি যেমন নিরাশ্রয় প্ৰেম নিয়ে ভয়ে বিস্ময়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতেন, খোকা তেমনিভাবে তাকাতে শিখেছিল । খোকা কঁদলে আমার মনে হত আমাকে জয় করবার চেষ্টায় উনি আবার মুখর হয়ে উঠেছেন। খোকার হাত গালে ঠেকলে ওঁর প্রথম দিনের স্পর্শ আমার মনে পড়ে যেত, রোমাঞ্চ হয়ে আমার সমস্ত শরীর ঘুমিয়ে পড়ত ভাই।” সুলতা নীরবে শুনিয়া গেল। তাহার মনে হইল এমনিভাবেই সকলে নিজের আনন্দ ও বেদনাকে স্বতন্ত্র ও মৌলিক মনে করিয়া থাকে বটে। সে ছাড়া আর কোন নারী যে কোন কালে সন্তানকে স্বামীর প্রতিনিধি করিয়া ভালবাসার অরাজক রাজ্যে শৃঙ্খলা আনিবার চেষ্টা করিয়াছে মনোরম তাহা ভাবিতেও পারে না । প্ৰথম পুত্রের মৃত্যু যে স্বামিপুত্র দুজনকে এক সঙ্গে হারানোর মত অসহ, পৃথিবীতে মনোরমাই তাহ প্ৰথম জানিল । শোক দুঃখের আগাগোড়ায় এ বেদন তাই চিরস্থায়ী। ত্রিশ বছর পরে স্বামীর যৌবনকালের ফটো দেখিয়া মনোরমার মনের ভিতর হুহু করিয়া উঠিবে, মনে হইবে, এমনি চোখ, এমনি মুখ, এমনি অতুল অতৃপ্ত হাসি নিয়া যে আজ তাহার নিজস্ব হইয়া থাকিত, সে গেল কোথায় ? পুত্রবধুর মধ্যে পুনর্জন্ম নিতে সে কেন পারিল না, হায় ভগবান! সুলতার চমক ভাঙিল। বালিশে মুখ গুজিয়া মনোরম আবার কঁাদিতে আরম্ভ করিয়াছে। DDBBD DBDBDBD BB B BD D DD S SS EDK BD DBB O rift totrittags o