পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ste মহাকালের জটার জন্ট

  • ,नांद्र ब जांनन ? ‘জানেন। বইকি ! খুব ভাল করেই জানেন।’ সুলতা বুকের মধ্যে কেমন ভার বোধ করিতেছিল। চাপা গলায় সে বলিল, “খুব ভাল করে জানেন কেন ?

‘হঁ। শান্তি বেঁচে থাকলে আজ মনোর মার চেয়ে বুড়ো হয়ে যেত, কিন্তু মরে গিয়ে সে আমার মনে নতুন-বেী হয়েই বেঁচে আছে। এ কি মনোর মা টের পায় না বাছা ! এই সেদিন আমায় কবিত্ব করে বলছিল, মরে যাওয়ার পর মানুষের বয়স আর বাড়ে না। এ বড় আশ্চৰ্য গো, এ বড় অন্যায়।’ সুলতা সন্দিগ্ধভাবে বলিল, “কবিত্ব করে নয়।’ “না। তাহলে নিজের কথায় নিজেই ও আঁতকে উঠত। তেইশ বছরের रूङिॐऊ ? যাদব খানিকক্ষণ নীরব হইয়া রহিলেন। সুলতার মনে হইল, কঁচা-পাকা গোফদাড়ির আড়ালে ঠোঁট দুটি কঁাপিতেছে। একটা অস্বাভাবিক উত্তেজনা তাহার মাথার মধ্যে দপদপ করিতে লাগিল । পাশে গিয়া বসা যায় না ? দাড়ি ফাক করিয়া দেখা যায় না ঠোঁট দুটি কঁাপিতেছে কিনা ? প্ৰাচীন যন্ত্রে আত্মার বাণী এমন ক্ষীণ মুমূর্ষু কেন ভাবিয়া সুলতার কান্না আসিবাব উপক্রম হইল । যাদব বলিলেন, “মনোর মারি সংসারের বাইরে আমার স্থান ছোট-বেী। শান্তির সঙ্গে সুখদুঃখের সম্পর্ক যেখানে শেষ হয়েছিল। সেইখানে। মনোর মা আমার নাগাল পায় না। আমি তেইশ বছর পিছিয়ে পড়েছি। ওর কি সহজ দুঃখ জীবনে ? সুলতা তাহ জানে। মাসের পর মাস কাটিয়া যায়, দিনে যে কতবার এ বাড়িতে আসে ঠিক নাই, কিন্তু মনোর মারা দেখা মেলে কদাচিৎ। নিজের সংসারের কোনখানে যে তিনি নিজেকে গোপন করিয়া রাখেন খুজিয়া বাহির করিতে হয়। একশ’ আট রুদ্রাক্ষের মালা নিয়া তিনি কেবল জপাই করেন। সারাদিনRV একশ’ সাতটি রুদ্রাক্ষের পর প্রথমটি আবার ফিরিয়া আসে, গ্রহে গ্রহে পা দিয়া সমস্ত বিশ্ব ঘুরিয়া আসিয়া তিনি বোধ হয় বিশ্বদেবতাকেই প্ৰণাম করেন। O fit Vetta o