পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS হলুদ পোড়া ‘কে তুই ? বল, তুই কে ?” “আমি শুভ্ৰ গো, শুভ্ৰা । আমায় মেরো না ।” ‘চাটুজ্যে বাড়ির শুভ্ৰ ? যে খুন হয়েছে ? ‘ईJi cश, ईJ । अiभांध 6भgब्रों नां ।' নবীন দাওয়ার একপাশে দাঁড়িয়েছিল, তার দিকে মুখ ফিরিয়ে কুঞ্জ বলল, ‘ব্যাপার বুঝলেন কর্তা ? উঠান থেকে চাপা গলায় বুড়ো ঘোষালের নির্দেশ এল, ‘কে খুন করেছিল শুধোও না কুঞ্জ ? ওহে কুঞ্জ, শুনছো ? কে শুভ্ৰাকে খুন করেছিল, শুধিয়ে নাও bहे कब्र।’ কুঞ্জকে কিছু জিজ্ঞেস করতে হল না, দামিনী নিজে থেকেই ফিসফিস করে জানিয়ে দিল, “বলাই খুড়ো আমায় খুন করেছে।” নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেকবার তাকে প্রশ্ন করা হল, কিন্তু দামিনীর মুখ দিয়ে এ ছাড়া আর কোন জবাব বার হল না যে, সে শুভ্রা এবং বলাই তাকে খুন। করেছে। তারপর একসময় তার মুখ বন্ধ হয়ে গেল, নাকে হলুদ পোড়া ধরেও আর তাকে কথা বলানো গেল না। কুঞ্জ অন্য একটি প্রক্রিয়ার আয়োজন করছিল, কিন্তু কৈলাস ডাক্তার এসে পড়ায় আর সুযোগ পেল না। কৈলাসের চেহারাটি জমকালো, প্ৰকাণ্ড শরীর, একমাথা কঁাচাপাকা চুল, মোটা ভুরু আর মুখময় খোঁচা খোচা গোফ দাড়ি । এসে দাড়িয়েই ষাড়ের মত গর্জন করতে করতে সে সকলকে গালাগালি দিতে আরম্ভ করল, কুঞ্জর আগুনের মালসা তার দিকেই লাথি মেরে ছুড়ে দিয়ে বলল, ‘দাঁড়া হারামজাদা, তোকে ফাসিকাঠে ঝুলোচ্ছি। ওষুদ দিয়ে বৌমাকে আজ মেরে ফেলে থানায় তোর নামে রিপোর্ট দেব, তুই খুন করেছিস।” কৈলাস খুঁটিতে বাধা চুল খুলে দামিনীকে ঘরে নিয়ে গিয়ে বলাই-এর দাদামশায়ের আমলের প্রকাণ্ড খাটের বিছানায় শুইয়ে দিল । প্যাট করে তার বাহুতে ছুচি ফুটিয়ে গায়ে ঢুকিয়ে দিল ঘুমের ওষুধ । দামিনী কাতরভাবে বলল, “আমায় মেরো না গো, মেরো না । আমি শুভ্ৰ । চাটুজ্যে বাড়ির শুভ্ৰা ।” কয়েক মিনিটের মধ্যে সে ঘুমিয়ে পড়ল। দামিনীর মুখ দিয়ে শুভ্ৰা বলাই চক্রবর্তীর নাম করায় অনেক বিশ্বাসীর মনে যে ধাঁধার স্বষ্টি হয়েছিল, বুড়ো ঘোষালের ব্যাখ্যা শুনে সেটা কেটে গেল। শুভ্রার o afir RCMPțit o