পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S30 চুরি চুরি খেলা তার কয়েদী। তোমায় জেল দিয়েছে হাকিম, কিন্তু নিরপরাধ জেলারকে দেখে রাগে চোখ লাল করে ফেলেছি। কমলা মৃদুস্বরে বলিল, রাগে নয়। অনুরাগে ? এই পরিহাসের জবাবে কমলা নীরবাহইয়া রহিল। খাটের প্রান্তে বসিয়া তার আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিয়া অনন্ত বলিল, ভূষণের অন্তর্ধান, বসনের বিদ্রোহ ! এ শাড়ি তোমায় কে এনে দিয়েছে শুনি ? আমার কিন্তু খুব পছন্দ হয়েছে। এনে দিয়েছে কে ? আমি আনিয়েছি। আমি এনে দিইনি। কে এনে দিয়েছে শুনবে ? সুশীলবাবু। অনন্তেব মুখ অন্ধকার হইয়া আসিল। সুশীল ? ওকে বরখাস্ত করতে হবে। মোটা একটা চুরুট ধরাইয়া অনন্ত গভীবিভাবে ধূমপান করিতে লাগিল। কমলা বলিল, বরখাস্ত করতে হবে কেন ? আমার আদেশ পালন করেছে। বলে ? না । আমার আদেশ পালন কবেনি বলে । কমলা মান ভাবে হাসিল, ও ! তবে বরখাস্ত কবিতেই হবে। ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া অনন্ত বলিল, সুশীলের স্পর্ধ এত বেড়েছে কেন জানি কমল ? ওব ছেলেকে তুমি অতিরিক্ত আদর কর বলে। কমলা উদাসভাবে বলিল, হবে । কিন্তু এ স্পর্ধ নয়। এতে আমি ওঁর বিনয়ের লক্ষণই খুঁজে পাই। কৈফিয়ত স্বষ্টি করছ কেন ? দিও তুমি সুশীলবাবুকে বিদায় করে । অনন্ত স্তন্ধ হইয়া রহিল। তাহার চুরুটের ধোঁয়া পাক খাইতে খাইতে উপরে উঠিতে লাগিল ; মন্থর গতি । এদের কলহও এমনি অলস, এমনি সংক্ষিপ্ত, এমনি ভীরু । কেহ রাগ করে না, ধৈৰ্য হারায় না, কড়া কথা বলে না। এই যে সামান্য একটু আলোচনা হইয়া গেল। ইহা শুনিয়া বাহিরের লোকের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন যে, সুশীলকে বরখাস্ত করিতে না পারিলে অনন্ত বহুদিন ধরিয়া মনে মনে ক্ষুঞ্জ O förs Rorgia o