পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাঘব মালাকার $şN2 গৌতম চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে বলে, “কাপড় ? কাপড় কি রে ব্যাটা ? বললাম না বস্তা নিয়ে যাচ্ছি ? মথুর সা বস্তা চেয়েছে চাল চালানের জন্যে ? ‘গতবার টের পেইছি বাবু, কাপড়।” ‘হঁ্যা, কাপড় ! তোকে বলেছে। সদরে খ খ করছে লোকে কাপড়ের জন্যে, বিশ টাকা দিয়ে কাপড় পাচ্ছে না একখানা, আমি নিয়ে চলেছি মালদিয়া ! ব্যাটার বুদ্ধি কত ? রাঘবের হাসিটা বড় খারাপ লাগে গৌতমের। ‘সদরেই ত বেচছো বাবু। গুদোম করেছ মালদিয়ায় । এ-পথে মাল আনিছ মাসে দু’বার চারবার, পাচগড়ের পথে রোজ এদিক ওদিক চালান দিচ্ছে খানিক খানিক। মোরা বলি যে ঠাকুরবাবু পাচগড়ের পথে বাসে চেপে মালদিয়া যায় না কেনে, ফুলবাড়ি নেমে মজুরি দিয়ে মাল নিয়ে দু’কেশ হাটে ? পাচগড়ের পথে ছোকরা বাবুৱা পাহারা দেয়, তাই ত বিপদ।” ‘কে বলেছে তোকে ? কার কাছে শুনলি ? সভয় গর্জনে গৌতম জিজ্ঞেস করে । ‘কে বলবে বাবু? আন্দাজ করিছি। মুখুত্ব বলে কি এমন মুখুঢ় মোরা ? গৌতম চাটু করে একটা বিড়ি ধরায়। একটু ভাবে। রাঘব যে বলল, মোরা আন্দাজ করিছি, তার মানে কি এই যে জানাজানি হয়ে গেছে ? মোরা কারা ? রাঘব আর তার আত্মীয়বন্ধু ক’জন, না আরও অনেকে ? “তোকে চারটািকা মজুরি দি রঘু।” “আঞ্জে বাবু। তোমার দয়া।” ‘তাই বুঝি বলে বেড়াচ্ছিস আমার কারবারের ব্যাপার দশজনকে ? তোকে বিশ্বোস করলাম, তুই শেষে নিমকহারামি করলি রঘু? দশ কুঁড়ের গা যেন জনহীন-কুকুর পর্যন্ত ডাকে না। পথের পাশে জলায় শালুক ফুটেছে অগুনতি—দু’মাস আগে পর্যন্ত এই শালুকের ফসল তুলে প্ৰাণ বঁচিয়েছে এই বস্তি-গাগুলির স্ত্রী-পুরুষ-অবশ্য সবাই নয়। বুক ফুলিয়ে দাড়াতে গিয়ে প্ৰায় পিছনে হেলে যায় রাঘব, আবেগের ভারে ভারাক্রান্ত গলায় বলে, “নিমকহারামি ঠাকুরবাবু? বলছ নিমকহারামি ? হাটে সেদিন সভা করে স্বদেশীবাবুৱা বললে, যে যা জানো থানায় বলবে। বলিছি থানায় ? থানায় O व-निदीडिअल