পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাঘব মালাকার SV26: রাঘবকে সে বিড়ি দেয়। নিজে বিড়ি ধরাবার আগেই রাঘবকে দেয়। বলে, ‘টেনে নিয়ে চটপট চল বাবা, পা চালিয়ে বাকী পথটা মেরে দি। খিদেয় পেট চোৰ্চো কচ্ছে, মাইরি বলছি তোকে রঘু, কালীর দিব্যি। চ’ যাই চটপট । পৌছে দিলে তুইও খালাস। ওখানে খাবি তুই আজ। জানিস, আমার ওখানে খাবি। খেয়েদেয়ে ফিরিস, নয় শুয়ে থাকিবি।” ঘাড় হেঁট করে রাঘব বসে থাকে বেঁচেকায়, করুণ চোখের পলকে তাকিয়েই চোখ নামায়। ধরা-গলায় বলে, “বাবুঠাকুর, এ কাপড় মোদের চাই।” ‘কাপড় চাই ? আচ্ছা, আচ্ছা দেবখন তোকে একখানা—” গৌতম ঢোক গেলে, ‘একজোড়া কাপড় । নে দিকি নি, চল দিকি নি। এবার। ওঠ ।” রাঘব উঠে দাড়িয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গৌতমের পায়ে, দু’হাতে দু’পা চেপে ধরে বলে, ‘আজ চলাচলি নাই বাবুঠাকুর। কাপড়গুলো মোদের দিয়ে তুমি যাও গে। দানছত্তর করে যাও বাবুঠাকুর কাপড়গুলো। মোদের ঘরে মেয়ে-বেী छांश िश्gश ऊांgछ cों।' গৌতমের ভয় করে। কিন্তু এদের সম্বন্ধে তার ভয় খুব অল্প, তাই মন তার ভয়ের সীমা পেরিয়ে যায়। ঝাঁকড়া চুল ধরে রাঘবকে টেনে তুলে গর্জন করে সে বলে, “হারামজাদা ! গাঁজাখোর! বজাত! ওঠ বলছি! মোট তোল! নন্দবাবুকে বলে তোকে জেল খাটাব। ছ'মাস। ভৈরববাবুকে বলে তোকে চালা 6क्ट्रb তুলে দেব দেশ থেকে। মোট তোল, পা চালিয়ে চল।” “মেয়েগুলো ন্যাংটাে বাবুঠাকুর। মা-বুন ন্যাংটো, মেয়ে-বৌ ন্যাংটাে—” ‘ন্যাংটো ত ধরে ধরে...” বলেই গৌতম অনুতাপ করে। এমন কুৎসিত কথা বলা উচিত হয়নি, রাঘবের মা-বোন মেয়ে-বেীকে এমন কদৰ্য গাল দেওয়া । দুটো মন-রাখা কি কি কথা ব’লে কাটিয়ে দেওয়া যায়। এই ভীষণ কথাটা, গৌতম। তাই মনে মনে স্থির করার চেষ্টা করে। বেশী নরম হলে ব্যাটা পেয়ে বসবে। বেশ লাগসই, জুতসই, ওজনসই কথা বলা চাই । ‘কাপড় তবে রইলো বাবুঠাকুর।” বলে রাঘব হাক , দেয় গলা চড়িয়ে। মৃত পত্ত গা যেন জীবন্ত প্ৰাণ পেয়ে কলরব করে ওঠে, কিলবিল করে বেরিয়ে আসে উলঙ্গপ্ৰায় স্ত্রী-পুরুষ। পত্তিতে এত লোক থাকে না, অন্য সব বস্তি-গায়ের লোকেরাও আজ ওখানে এসে জড়ো ও স্ব-নিৰ্বাচিত গল্প ও