পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ა(სტდტ রাঘব মালাকার হযেছিল। গৌতম প্ৰথমে হতভম্ব হয়ে যায়, তারপর উঠে দাড়িয়েই ছুটে পালাবার উপক্রম করে। রাঘব লাফিয়ে গিয়ে তার হাত ধরে । ‘আর হয় না। বাবুঠাকুর। বললাম দান করে দিয়ে যাও কাপড়গুনো, তাত get =} |” ‘নে না কাপড়গুনো বাবা । সব কাপড় নে । আমায় ছেড়ে দে।” “আর তা হয় না। বাবুঠাকুর। দান দিয়ে যেতে সে ছিল ভিন্ন কথা। কাপড় লুট হল এখন, তোমায় ছেড়ে দিয়ে মরব। মোবা ? উত্তেজিত মানুষগুলিকে রাঘব সংযত রাখে। তার ধমকে অন্য সকলের চেচামেচি বন্ধ হয়, কিন্তু ভয়াতুর কয়েকজনের আর্ত ও তীব্র প্রতিবাদ সে থামাতে পারে না। বুড়ে নরহরি কপাল চাপড়ে চেঁচায়, ‘মারাবি তুই, সবাইকে মারবি তুই রাঘব! পুলিস আসবে সবাইকে বেঁধে মারবে, ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। ওরে বাবা রে, সব্বোনাশ করলে রাঘব ।” দুটি স্ত্রীলেক চেচিয়ে কান্না ধরে । তিনজন মাঝবয়সী লোক চোখ পাকিয়ে বলে, “মোরা এর-মধ্যি নাই, রাঘব।” রাঘব বলে, “নাই ত দেডিয়ে রইছ কেনে ? কাপডের ভাগ নিও না, যাও 하 1' কাপডের বেঁাচক আর গৌতমকে গায্যের মধ্যে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। রাঘবের ঘরের দাওয়ায় বেঁচেকা নামিয়ে বন্ডদের মজলিস বসে, এবার কি করা উচিত আলোচনার জন্য। কি করা হবে না হবে সব ঠিক হযে আছে ক’দিন থেকে, গৌতমকে পুতে ফেলার জন্য জঙ্গলে গভীর গর্তও কেটে রাখা হয়েছে একটা, তবু একটু আলোচনা না করে তারা পারে না। কাপডগুলি তাড়াতাডি বিলি করে ফেলা দরকার, বাইবের যারা তারা ফিরে যাবে যে যার গায়ে, এখানকার যারা তারা যাবে যার যার ঘরে। এত লোক বেশীক্ষণ জমায়েত হয়ে থাকা উচিত নয়, কে যাবে পথ দিয়ে, কার কি চোখে পডবে কে বলতে পারে। রাঘব থেকে থেকে গর্জন করে ওঠে, ধারালো দা উঁচু করে একদম চুপ হয়ে যেতে বলে সবাইকে-গোলমাল শুনে কেউ যদি ব্যাপার দেখতে আসে পথ থেকে ? তাকেও তা পুতিতে হবে বাবুঠাকুরের সঙ্গে। একটা লোক নিখোঁজ হওয়া এক কথা। বেশী লোক নিখোঁজ হলে হাঙ্গামা হবে না ? ‘কথা যে কইবে সে কাপড় পাবে না।” O TfR Gatott o