পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V বৃহত্তর-মহত্তর সে চমকে উঠল।া-সতীনের ভয়ে আত্মার আর্তনাদ ? সতীন ? সতীন হয়েচে নাকি এর মধ্যে ? স্ত্রী ছাড়া তার চলবে না জানতাম, কিন্তু এত শীগগির । • আমার পায়ের আলতার দাগ এখনো বোধ হয়। ঘরের মেঝে থেকে মুছে যায় নি। আমি কি তার ঘরের এতখানি স্থান জুড়ে ছিলাম যে বিশাল ফাকটা সইল না, তাড়াতাড়ি পূর্ণ করতে হল ? নালিশ ! ক্ষুঃ ক্ষুব্ধ অভিযোগ ! মনে হল, অভিমানও জেগেছে-ঈর্ষার বসন-পরা অবুঝ অভিমান। মুখে একটা কালো ছায়া ভেসে এসেছে, দুচোখে ঘনিয়েছে ব্যথা। দেখে আমার বিশেষ ভাল লাগল না। মুখে সমৰ্থন করি আর না করি মনে মনে তার মানবীত্ব ঘুচিয়ে তাকে দেবীর মত জ্যোতির্ময়ী করে তুলেছিলাম-দধীচি থেকে আরম্ভ করে আজ পর্যন্ত সংখ্যাহীন জ্যোতিষ্ক যে-জ্যোতির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে মানুষের। মানবতার ছায়াপাতে মমতাদির সে ভাস্বর মূর্তি কল্পনার নেপথ্যে হঠাৎ যেন মান হয়ে গেল। বললাম, এবার আমার পুরো অসমর্থন মমতাদি । ছলনা করেচ নিজেকে । ভেবেচি কর্তব্য ত্যাগ বুঝি সত্যি ত্যাগ। দুঃখের কাছে হার মেনে তুমি পালিয়েচ কর্তব্য পিছনে ফেলে ! সে বললে, কর্তব্য মানে ? স্বামিসেবা ? তনুমন দিয়ে তনু পরিচর্যা ? শিক্ষা , তোমায়। উদার করেনি দেখচি। এই নারীবিদ্রোহের যুগে ওকি কথা বলচ তরুণ ? কোন যুগের মানুষ তুমি ? -এ যুগের। আমায় টেনে না। আমার শিক্ষা অতি অনুদার। উদার শিক্ষা কোথায় পাব ? নচিকেতার মত যমের বাড়ি না গেলে আর সে শিক্ষা জুটচে না। দুঃখ এই যে যম আমায় বাড়ি ফেরার জন্য ছেড়ে দেবে না। কিন্তু তনু-পরিচর্যার নালিশ পুরোনো, পচা। নিজেই বলেচ ও জন্য বাড়ি ছাড়নি। একটা অমানুষের মঙ্গল যে করতে পারল না, নিজের লোকের অত্যাচার সইতে পারল না, লক্ষ মানুষের মঙ্গল করার শক্তি সে কোথায় পাবে, পরের অত্যাচার সয়ে কি করে ব্ৰতরক্ষা করবে ? -লাখ মানুষের আশীর্বাদের জোরে। কিন্তু তোমার যুক্তিটা বেশ! লজিকের সেই ফ্যালাসির মত-মানুষ অমর নয়, বানর অমর নয়, অতএব মানুষ বানর। একের সঙ্গে লাখের তুলনা চলে ? যে বক আঁকতে পারল না, সাহিত্যিক হয়ে সে মানুষের স্বষ্টি করতে পারবে না। এ কথা বলা যায়? একটি to fly stritvic o