পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sub- রাঘব মালাকার বার হয় না । কাঠের মতো শুকনো গলায় ক’বার ঢোক গিলবার চেষ্টা করে সে কোনমতে বলে, “জল। জল দে একটু।” ‘মোদের ছোয়া জল যে বাবুঠাকুর।” গৌতম মাথা হেলিয়ে সায় দিয়ে বলে, “দে।” জল খেয়েই সে পালায়। পরদিন পুলিস আসে দল বেঁধে, বিকেলের দিকে। দলিলপত্র তৈরী করে আটঘাট বেঁধে সব সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে এক বেলা সময় লাগে, নইলে সকালেই পুলিস আসত। নাথগঞ্জের গগন সা’র প্রকাশ্যে কাপড়ের দোকানও একটা আছে । তিনদিন আগের তারিখে মালদিয়া গায়ের জন্য কিছু কাপড় বরাদ্দ করিয়ে নিয়ে, গৌতম মুখোপাধ্যায়কে এজেণ্ট নিযুক্ত করে, যথাশাস্ত্র খাতপত্র রসিদ ইত্যাদি ঠিক করে ফেলায় পত্ত গাঁয়ে লুট-করা কাপড়গুলির চােরাই মালত্বের দোষ কেটে যায়। পর্তুগায়ে গিয়ে পুলিস দ্যাখে ধডপাকড ইত্যাদির চেয়েও ঢের বেশী গুরুতর ও সঙ্গত অনেকটা কারণ উপস্থিত হয়েছে। লুটি-করা কাপডের ভাগ বাটােয়ারা নিয়ে জোরালো একটা দাঙ্গা হয়ে গেছে গত রাত্রে। খুন হয়েছে দু’জন, আহত হয়েছে অনেকে। রাঘবের মাথা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। রাঘব বঁাচবে কি মরবে। ঠিক নেই। ৩ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের