পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठ्थांकू-आंब्रौद्म कांश्र्निौ SAS নদের চাঁদের বৌ নাকি ছুটতে ছুটতে হঠাৎ থমকে দাড়িয়েছিল, মুখোমুখি দাড়িয়ে কয়েক মুহুর্তের মধ্যে কয়েকবার কপালে হাত ঠেকিয়ে ঢলকে প্ৰণাম করেছিল—পাকা বাড়ির ছাতে দাড়িয়ে শাস্তু নিজে দেখেছিল,-গায়ের পাগলাটে স্বভাব-কবি ষাট পেরোনো শঙ্কু। কী তার বর্ণনা সেই দৃশ্যের -বন্যার আদত ঝঙ্কাট মিটে যাওয়ার পর জেরটা চলতে থাকার সময় শঙ্করবাবুর পূজা-মণ্ডপে পূজার উৎসবে আনন্দ করতে সমাগত মানুষগুলির গায়ে কয়েকবার কঁাটা দিয়েছিল শুনতে শুনতে । হয়ত নদেরচাদের বৌ কয়েক মুহুর্তের অবসরে যুক্ত কর কপালে ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে যতবার ঢলকে প্ৰণাম জানাতে পেরেছিল, ঠিক ততবারই গায়ে কঁাটা দিয়েছিল। সকলের । মেঘলা আকাশ-ছাড়া ছাড়া, ভাঙা ভাঙা মেঘ। কয়েক মুহুর্ত আগে চতুর্দশীর চাদ একখণ্ড মেঘের আড়াল থেকে মুক্তি পেয়ে ফাকা আকাশের খণ্ডটায় এসেছিল। গর্জন করে এগিয়ে আসছে বঁাধ-ভাঙা জলের তোড়, সেই ফেনিল ভয়ংকর গতিশীলতায় পড়েছে প্ৰাক-পূর্ণিমার চাঁদের আলো—সুন্দরতম যেন উন্মাদ হয়ে ছুটে চলেছে। শঙ্কুরও নাকি সাধ হয়েছিল প্ৰণাম করার। এ র্কাখে নাতি ও কঁাখে নাতনীকে নিয়ে ভাঙা সিড়ি বেয়ে সে ছাতে পালিয়েছিল, দু’হাত আটক ছিল ওই দুটো বাচ্চার ভয় কমাতে দু’জনকে বুকে চেপে ধরে লেপ্টে রাখার জন্য । কিন্তু জ্যোৎস্নায় উদ্ভাসিত মহাসুন্দরের রূপ-ধরা সেই ফেনাময় সর্বনাশকে জগৎজীবন ফাটিয়ে দেওয়া আওয়াজ তুলে এগিয়ে আসতে দেখে তারও সত্যি নাকি কামনা জেগেছিল, বাচ্চ দু’টোকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে দুটি হাত মুক্ত করে নিয়ে অন্ততঃ একবার প্রণাম জানাবোঁ । অনাথের মাটির ঘর। প্ৰথম তোড়েই হেলে পড়েছে। তিন পুরুষের আমকাঠের চৌকিতে শায়িত জ্বরে অজ্ঞান অনাথকে বুকে তুলে নিয়ে চৌকিটাতেই উঠে দাড়িয়ে সামলাতে হয়েছে বঁধ-ভাঙা ঢাল-বন্যার প্রথম তোড় । নব আর বাচ্চ মেয়েটাকে বুকে নিয়ে পিসীও দাড়িয়েছে চৌকিতে। ভাগ্যে খড়ো-ঘরের মাটির ভিটেটা অনেক উঁচু করে গাথা হয়েছিল—ক’পুরুষ আগে কে জানে ! ow-fifts is a