পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MKS NINNS সন্ধ্যা তখন সাতটা। মোড়ের দিকে টিয়ার গ্যাসের বোমা ফাটতে শুরু করা মাত্র আওয়াজ শুনে ডাক্তার দাশ তাড়াতাড়ি ভিতর থেকে ডিসপেনসারীর দরজা বন্ধ করে। কম্পাউণ্ডার নবীনের সঙ্গে নিজেও হাত লাগায় দরজা বন্ধ করতে। আপসোসের কঁপা সুরে বলে, এবেলা না খুললেই হত। তুমি বললে ভয় নেই, কিছু হবে না-নইলে আমি কিছুতে খুলতাম না। নবীন প্ৰতিবাদ জানিয়ে বলে, কিছু হবে না একথা ত আমি বলিনি। আমি শুধু বলেছিলাম-ভয় নেই। খোলা রাখলেই হত-মোড়ে হাঙ্গামা হচ্ছে, এখানে ভয় কি ? জোয়ান নবীনের মুখের দিকে চেয়ে ঢোক গিলে ডাক্তার দাশ বলে, যাক গে, রোগীপত্র ত আজ আর আসবে না, কি হবে খোলা রেখে ?

তা বলছি না । বন্ধ করেছেন বেশ করেছেন। নবীনকে বেশ খুশী মনে হয়। টিয়ার গ্যাস বন্দুকের টােটা ফাটার এমন একটা মহামারী কাণ্ড ঘটায় তার যে ছুটি মিলেছে তাতেই সে খুশী। ডাক্তার দাশ ভাবে, কে জানে বাবা এরা কোন ধাতে তৈরী, কি আছে। এদের রক্তে !

নবীন বলে, আমি তবে যাই ডাক্তারবাৰু? এত কাছে চলেছে কে জানে কেমন ভীষণ কাণ্ড, ছুটি পেয়েই বন্ধ ডিসপেনসারীর নিরাপদ আশ্ৰয় ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার জন্য ছোড়া ব্যাকুল ! ভারী মজার ব্যাপার ঘটবে, দেরি হলে ফসকে যাবে। ডাক্তারি পরীক্ষাতে কি ধরা পড়বে এমন অদ্ভুত কি মিশেছে। ওদের রক্তে ? : বাড়িতে একটা খবর দিয়ে যাবে নবীন ? আমার ফিরতে দেরি হলে কিংবা না ফিরলে যেন চিন্তা করে না। বলবে, এখানেই আছি, হিসাবপত্র দেখছি । ফিরতে দেরি হলে কিংবা একেবারে না ফিরলে ! নবীনের তাজব লেগে যায়। ডাক্তার মানুষ, কত লোকের গায়ে ছুরি কঁচি করাত চালিয়েছে, কত রক্তপাত দেখেছে, কত মানুষকে মরতে দেখেছে, ভুল চিকিৎসায় দু’চারজনকে o sifio ('Utriợitā c