পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stro शंद्रांप्भंद्र नाड्य़ांभांप्रे রীতিমত নরম শোনায়-স্রেফ হুকুমজারির বদলে সে যেন একটু বুঝিয়ে দিতে চায় সকলকো উচিত। আর অনুচিত কাজের পার্থক্যটা, পরিণামটাও । বক্তৃতার ভঙ্গীতে সে জানায় যে হাকিমের দস্তখতী পরোয়ানা নিয়ে সে এসেছে হারাণের ঘর তল্লাশ করতে। তল্লাশ করে আসামী না পায় ফিরে চলে যাবে। এতে বাধা দেওয়া হাঙ্গামা করা উচিত নয়, তার ফল খারাপ হবে । বে-আইনী কাজ হবে সেটা । গফুর চেচিয়ে বলে, মোরা তল্লাশ করতি দিমুনা। প্ৰায় দুশো গলা সায় দেয়, দিমুনা ! এমনি যখন অবস্থা, সংঘর্ষ প্ৰায় শুরু হয়ে যাবে মন্মথ হুকুম দিতে যাচ্ছে গুলি চালাবার, ময়নার মার খ্যানখেনে তীক্ষা গলা শীতার্ত থমথমে রাত্রিকে ছিড়ে কেটে বেজে উঠল, রিও দিকি তোমরা, হাঙ্গামা কইরো না । মোর ঘরে কোন আসামী নাই। চোর ডাকাইত নাকি যে ঘরে আসামী রাখুম ? বিকালে জামাই আইছে শোয়াইছি মাইয়া জামাইরে। দারোগাবাবু তল্লাশ করতে চান, তল্লাশ করেন। মন্মথ বলে, ভুবন মণ্ডল আছে তোমার ঘরে। ময়নার মা বলে, দ্যাখেন। আইস, তল্লাশ করেন। ভুবন মণ্ডল কেন্ডা ? নাম ত শুনি নাই বাপের কালে। মাইয়ার বিয়া দিলাম। বৈশাখে, দুই ভরি রূপা কম দিছি। ক্যান, জামাই ফির্যা তাকায় না । দুই ভরির দাম পাঠাইয়া দিছি। তবে আইজ জামাই পায়ের ধুলা দিছে। আপনারে কমু কি দারোগাবাবু, মাইয়াটা কাইন্দা মরে। মাইয়া যত কান্দে, আমি তত কান্দি আচ্ছা, আচ্ছ।—মন্মথ বলে, ভুবনকে না পাই, জামাই নিয়ে তুমি রাত কাটিও । গৌর সাউ হেঁকে বলে, অত চুপে চুপে আসে কেন জামাই ময়নার মা ? গা জলে যায় ময়নার মার। বলে, সদর দিয়া আইছে । তোমার একটা মাইয়ার সাতটা জামাই চুপে চুপে আসে, মোর জামাই সদর দিয়া আইছে! গৌর আবার কি বলতে যাচ্ছিল, কে যেন আঘাত করে তার মুখে। একটা আর্ত শব্দ শুধু শোনা যায়, সাপে-ধরা ব্যাঙের একটিমাত্র আওয়াজের মত। ময়নার রঙীন শাড়ি ও আলুথালু বেশ চােখে যেন ধাধা লাগিয়ে দেয় মন্মথের, পিচুটির মত চােখে এটে যেতে চায় ঘোমটা পরা ভীরু লাজুক কচি চাষী মেয়েটার আধপুষ্ট দেহটি । এ যেন কবিতা। বি. এ. পাশ মন্মথের কাছে, যেন চোরাই স্কচু O för Ratoțit o