পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারাণের নাতজামাই وس নেমেছে। ঘুটের ধোয়া ও গন্ধে নিশ্চল বাতাস ভারী। যাই বলেই যে গা তোলে জগমোহন তা নয়। ময়নার মারও তা জানা আছে যে, শুধু শাশুড়ীর সঙ্গে ঝগড়া করে যাই বলেই জামাই গটগট করে বেরিয়ে যাবে না। ময়নার সাথে বোঝাপড়া, ময়নাকে কঁাদানো, এখনো বাকী আছে। যদি যায় জামাই, মেয়েটাকে নাকের জলে চোখের জলে এক করিয়ে তারপর যাবে। আর কথা বলে না। ময়নার মা, আন্তে আস্তে উঠে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে। ঘরে কিছু নেই, মোয়ামুড়ি কিছু যোগাড় করতে হবে। খাক বা না খাক সামনে ধরে দিতেই হবে 丐fs哥颈1 চোখ মুছে নাক ঝেড়ে ময়না বলে ভয়ে ভয়ে, ঘরে আস। খাসা আছি। শুইছিলা ত ? না, মা কালীর কিরা, শুই নাই। মায় কওনে খালি ঝাপটা দিছিলাম, বঁাশটাও व्शा?ाग्ने नाङ्ग्रे । ঝাঁপ দিছিল, শোও নাই। বেউলা সতী ! ময়না তখন কঁদে । তোমার লগে আইজ থেইকা শেষ । भद्मका रूद्रिś3 रुँigा । ঘর থেকে হারাণ কঁপা গলায় হঁাকে, আসে নাই ? ছোড়া আসে নাই ? হায় ভগবান ! থেমে থেমে এক একটা কথা বলে যায় জগমোহন, না থেমে অবিরাম কেঁদে চলে ময়না, যতক্ষণ না কান্নাটা একঘেয়ে লাগে জগমোহনের। তখন কিছুক্ষণ সে চুপ করে থাকে। মুড়ি মোয়া যোগাড় করে পাড়া ঘুরে ময়নার মা যখন ফিরে আসে, ময়না তখন চাপা সুরে ডুকরে ডুকরে কঁাদছে। বেড়ার বাইরে সুপারি গাছটা ধরে দাড়িয়ে থাকে ময়নার মা । সারাদিন পরে এখন তার দু’চোখ জলে ভরে যায়। জোতদারের সঙ্গে, দারোগ পুলিসের সঙ্গে লড়াই করা চলে, অবুঝ পাষণ্ড জামাইয়ের সঙ্গে লড়াই নেই! আপন মনে আবার হাকে হারাণ, আসে নাই ? মোর মরণটা আসে নাই ? হায় ভগবান ! জগমোহন চুপ করেছিল, এতক্ষণ পরে হঠাৎ সে জিজ্ঞাসা করে শালার খবর। -উয়ারে ধরছে ক্যান ? ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও