পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSb डिकूक আগে যাদব হাটিয়াই যাতায়াত করিত। আজকাল সময় বঁাচানোর জন্য ট্রামে চাপে । একদিন কাজ সারিয়া বাড়ি ফেরার জন্য ট্রামের অপেক্ষা করার সময় অদূরে ধোপদুরন্ত জামাকাপড় পরা, চাদর কঁধে, ছড়ি হাতে বিশিষ্ট চেহারার এক ভদ্রলোককে দেখিয়া সে ভাবিতেছে, লোকটিকে দুঃখের কাহিনী শুনাইয়া দিবে কি না, সে নিজেই ধীরে ধীরে কাছে আগাইয়া আসিল । “আপনাকে একটা কথা বলতে চাই ।” চেহারায়, পোশাকে, চলনে, কথায় সবদিক দিয়াই লোকটিকে এত বেশী সন্ত্রান্ত মনে হইতেছিল যে, ভূমিকা শুনিয়াও যাদব কিছু বুঝিতে পারে না, সবিনয়ে বলে, “আজ্ঞে বলুন না।” লোকটি মৃদু একটু হাসে, “বলতে এমন লজ্জা বোধ হচ্ছে মশাই। আমি থাকি শেওড়াফুলিতে, একটু দরকারে আজ কলকাতা এসেছিলাম। দোকানে কয়েকটা জিনিস কিনতে যাচ্ছি, কোন ফাকে কখন যে কে পকেট কেটে মনিব্যাগটা সরিয়ে ফেলেছে, টেরও পাইনি।”-পাঞ্জাবির ডানদিকের পকেটটা তুলিয়া দেখায়, সত্যই পকেটটা কঁচি দিয়া কাটা । ‘রিটার্ণ টিকিটটা পৰ্যন্ত সে ব্যাগের মধ্যে ছিল। মহা মুশকিলে পড়েছি, কাউকে চিনি না শহরে, কি করে যে এখন টিকিটের দামটা-” স্তম্ভিত বিস্ময়ে যাদব তার মুখের দিকে চাহিয়া থাকে, যে ভাবে জুনিয়র উকিল হা করিয়া শোনে বিখ্যাত আইনজীবীর বক্তৃত । O atfis katotig