পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*• অন্ধকার উৎকৰ্ণ হয়ে আছে ধানের গোলাটা ঘিরে, মাঝরাত্রির চাদ-ডোবা অন্ধকার। সন্তৰ্পণে পা ফেলে এগিয়ে গাঢ়তার ছায়ায় মিশে যাবার চেষ্টা করছে অর্ধ-উলঙ্গ মূর্তিটিা, শ্বাসরোধ করে দু'চোখে অন্ধকার ভেদ করে আবিষ্কারের চেষ্টা করছে প্রহরীর গোপন উপস্থিতি। অত্যন্ত ভয়ে উত্তেজনায় টান টান হয়ে গেছে অর্ধ-উলঙ্গ দেহটা ৷ পাহারা নেই? এ দিনে ধানের গোলা, প্রাণের গুদাম, পাহার-শূন্য ? এটা ধাঁধার মত লাগে পাচুর কাছে। নিশ্চয় ঘুমিয়ে আছে পাহারাদার অন্তরালে আরামের ব্যবস্থা করে, নয় কর্তব্যে ফাকি দিয়েছে স্মৃতির জন্য কোথাও গিয়ে। মানুষ যখন ধানের জন্য উন্মাদ, গা-ঘেষা মবণ ঠেকাতে দিশেহারা, মরিয়া, গোলাভর ধান তখন অরক্ষিত রেখে দিতে পারে শরৎ হালদার ? কঁধের ঝোলা নামিযে বাখে পাঁচু, ঝোলা থেকে বার করে চকচকে দা, তারার আলোয় ঝিকমিক করে ওঠে তার ধার। গোলার যেটা পিছন দিক, দু’তিন হাত তফাতেই এক ইটের দেওয়াল, সেইখানে সোঁতসেতে শেওলায় জমানো আবর্জনায় দাঁড়িয়ে সিমেন্টের ভিত্তির আধ হাত উঁচুতে গোলার মাটি-লেপ চাচের বেড়া কাটতে শুরু করে। অসীম ধৈর্যের সঙ্গে, আওয়াজ বাঁচিয়ে, ধীরে ধীরে সিধি দেয় সঞ্চিত জীবনের ভাণ্ডারে। ছোটখাটো গর্ত হলেই যথেষ্ট, সেই ফুটো দিয়েই শস্যকণা ঝুরুঝুর করে বেরিয়ে আসবে। তার থলি ভরে যাবে। উপোেস জরের শান্তি ঘটিয়ে কাল অন্নপথ্য করবে। সে আর বঁচি । দেয়াল ভেদ হয়। ধান গড়িয়ে আসে না। ডান হাতটা পাচু সবখানি ঠেলে ঢুকিয়ে দেয় ভেতরে, ছড়ে যায় কেটে যায় হাতের চামড়া। গােলার মধ্যে হাতড়ে হাতড়ে ধান খোজে। দু’চারটে ধান পড়ে আছে মেঝেতে, গোলা ধানশূন্য! হাত বার করে এনে হতভম্ভ পাচু ভাবে, এ কেমন ধাঁধা, কিসের পরিহাস! কালও ধান ছিল গোলায়, কি করে কোথায় উধাও হয়ে গেল ধান ? পাপী সে, চােরছেচড়, তার স্পর্শেই কি শূন্য হয়ে গেল ধানের গোলা ? মণ্ডল সাতরা ভৌমিকরা ভোর ভোর গা-সুদ্ধ লোক জুটিয়ে এনে শরৎ e श्र-निष्टि १छ e