পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R o e ፵፫aff হালদারের ধানের গোলায় চড়াও হবে, টেনে বার করবে। তার মজুত, সবার সামনে ওজন করে ন্যায্য দামে বেচে দেবে গায়ের উপোসী মানুষদের—এ পরামর্শ চুপে চুপে শুনেছিল পাঁচু। খিদেয় খ্যাপা মানুষগুলি হানা দেবার আগে নিজের ঝুলিটা ভরে নেবার ফিকিরে এসেছিল । সব মিথ্যে হয়ে গেল ! r নিজের কপালে জোরে চাপড় মারে পাঁচু। দু'চােখ তার ফেটে যায় জল আসার তাগিদে। তার বুলি নয় ভরলো না তার দুরদৃষ্ট, শ’ দেড়শ” মানুষ যে হা করে আছে কাল কিছু ধান পাবার আশায়, কাকে তারা অভিশাপ দেবে! সোনা মণ্ডল আপসোস করে বলে, রাতারাতি পাচশ’ মণ ধান সরিয়ে ফেলল, কেউ টের পেলে না ? শুধু পরামর্শই হল, কেউ নজর রাখলে না ? আমি নয় গেছিলাম কুটুমবাড়ি ঋষি পাঞ্জা বলে, কেন গেলে ? নিশ্চিন্দি হয়ে তুমি কুটুমবাড়ি যেতে পাের, মোরা ঘুমোতে পারি না নিশ্চিন্দি হয়ে ? ঋষি তোকে আমি-আগুন বর্ষণ করে সোনা মণ্ডলের চোখ । পরাণ ভৌমিক বলে, কেন ? কেন ধমকাবে ওকে ? দায়িক মোরা সবাই নাই ? রাতারাতি পাঁচশ’ মণ। ধান সরাবে কুথিা দিয়ে কেমন করে তুমি ভাবলে ? মোরা ভাবতে পারি না। রাতারাতি কুথা দিয়ে কেমন করে। পাচশ’ মণ। ধান সরাবে ? তা বটে, হক কথা।-চোখের নিমিষে শান্ত অনুতপ্ত হয়ে যায় সোনা মণ্ডল, মোদের সবার খেয়াল করা উচিত ছিল হালদার মশায় মস্ত ঘুঘু। কিন্তুক কি ব্যাপারটা বল দিকি, এ্যা ! কুথ সরালো, কেমন করে সরালো ধান ? এই কথাই ভাবে সবাই। ছেলে-বুড়ো মুখ চাওয়াচাওয়ি করে, মুক হয়ে দাড়িয়ে থাকে। ধাধা। যাই হোক, ভুল যাই হয়ে থাক, শরৎ হালদারকে টেনে এনে ছিড়ে ফেলা যায়। ছিডে কুটি কুটি করে ফেলা যায় বুড়ী কচি মেয়ে-পুরুষ যে আছে তার বাড়িতে-আগুন দিয়ে ছাই করে দেওয়া যায় তার বাড়ি । পাকা দালান ত তার একটা ভিটের তিনখানা ঘর, বাকী বঁাশ কাঠ খড়ের মহাল আগুন দিলেই দাউদাউ করে জলবে। সেই আগুনের আঁচে পুড়ে না যাক গলে যাবে পাকা দালানের লোহার সিন্দুকের সোনা। কিন্তু তাতে ত আর ধান মিলবে না। সে হবে শুধু প্ৰতিহিংসা । ফিরে চলে যাচ্ছিল সবাই আপসোস বুকে নিয়ে মিছামিছি হাঙ্গামা করার O मनिक दाना”श्विाgअझ o