পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थ و ه ج দুত্তেরি বারণ করেছে, নারায়ণ ঝিমিয়ে ঝিমিয়েই বলে, তোল তুই। কি হবে ? কোন শালা কি করবে ? তা ঠিক কিছুই হয় না, কেউ কিছু বলে না, সবার চােখের ওপর বুক ফুলিয়ে চোরাই ধান-চাল চালান দেওয়া যায় ! কিন্তু চিরদিন কি যায় ? চিরদিন কি মানুষ মুখ বুজে থাকে কিছু বলে না ! ওরা কারা আসছে দল বেঁধে ? কেরোসিনের খদ্দের ? কেরোসিনের খদের ত এমন দল বেঁধে আসে না । সুধীর, কানাই, জৈনুদ্দীনদের দেখা যাচ্ছে। একটা কিছু হাঙ্গামা করতে আসছে। নারায়ণ সজাগ হয়ে ওঠে। তোমার গুদোমে চোরাই ধান আছে। তুমি কে হে বাবু? আমার গুদোমে কি আছে না আছে, তোমার তাতে कि ? সুধীরের মেজাজ বিগডেই ছিল, সে চিৎকার করে বলে, আবার চোখ রাঙায় । বঁধে ব্যাটাকে, কোমরে দডি বেঁধে টেনে নিয়ে চলো থানায়। সুধীর বলে, থামো, থামে। দারোগাবাবু আসুক। ধান রয়েছে, আসামী রয়েছে, এতো আর চাপা দেওয়া চলবে না । থানার দারোগ বিধুভুষণ এসে পৌছতে পৌছতে খবর ছড়িযে প্ৰকাণ্ড ভিড় জমে যায়। উৎসুক, উত্তেজিত হয়ে জনতা প্ৰতীক্ষা করে কি ঘটে দেখবার জন্য । এতকাল ধরে এমন খোলাখুলিভাবে এখান দিয়ে ধান-চালের বে-আইনী চালান চলে আসছে যে, লোক প্ৰায় খেয়াল করতেই ভুলে গিয়েছিল। কারবারটা আইনসঙ্গত নয়। নারায়ণের মুখ শুকিয়ে গেছে, চােখ তার পিটপিট করে। এ অঘটন তার কল্পনায় ছিল না । সুধীর কানাইরা যে দল বেঁধে এসেছিল সেটা সে গ্রাহাই করেনি, থানায় খবর গেছে শুনে মনে মনে একটু হেসেই ছিল। বরং । কিন্তু দেখতে দেখতে যে ভাবে চারিদিক ভেঙে এসে জমা হয়েছে মানুষ, খুশীর উত্তেজনায চঞ্চল হয়ে প্ৰতীক্ষা করছে পুলিস এসে তাকে কি ভাবে বেঁধে নিয়ে যাবে দেখবার জন্য, তাতে ভড়কে গিয়েছে নারায়ণ। কিছু তার হবে না শেষ পর্যন্ত সে জানে। তবু একটা অদ্ভুত আতঙ্ক চাপ দিচ্ছে হৃদপিণ্ডে, দাম যেন আটকে আসবে। জনতার এই ভয়ংকর বিরোধী মূর্তি সে জীবনে কখনো দ্যাখেনি। বিধুভুষণও ভড়কে যায় ব্যাপার দেখে। বলে, কি ব্যাপার, কি ব্যাপার, হয়েছে কি ! ভিড় কিসের ! e f: *tott. O