পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९२8 বিবেক অশ্বিনীর সোনার ঘড়ি চুরি করা অন্যায় নয়। ওরকম মানুষের দামী জিনিস চুরি कद्भाग्ने ऐछेऊि । একঘণ্টা পরে মিনিট পাচেকের জন্য অশ্বিনীর সঙ্গে দেখা হইল। প্ৰতিদিনের মত আজও সে বড় ব্যস্ত হইয়া আছে। মস্ত চেয়ারে মোটা দেহটি ন্যন্ত করিয়া অত্যধিক ব্যস্ততায় মেঘ-গম্ভীর মুখে হাসফাস করিতেছে। ঘনশ্যামের কথাগুলি সে শুনিল কিনা বুঝা গেল না। চিরদিন এমনিভাবেই সে তার কথা শোনে, খানিক তফাতে বসাইয়া আধঘণ্টা ধরিয়া ঘনশ্যামকে দিয়া সে দুঃখ দুৰ্দশার কাহিনী আবৃত্তি করায়। নিজে কাগজ পড়ে, লোকজনের সঙ্গে কথা কয়, মাঝে মাঝে আচমকা কিছুক্ষণের জন্য উঠিয়াও যায়। ঘনশ্যাম থামিয়া গেলে তার দিকে তাকায়। হাকিম যেভাবে কাঠগড়ায় ছ্যাচড়া চোর আসামীর দিকে তাকায় তেমনিভাবে। জিজ্ঞাসা করে, “কি বলছিলে ?” ঘনশ্যামকে আবার বলিতে হয়। আজ পাঁচ মিনিটও গেল না, নীরবে ডুয়ার খুলিয়া পাঁচ টাকার একটা নোট বাহির করিয়া ঘনশ্যামের দিকে ছুড়িয়া দিল। ডাকিল৷ “পশু ।” পশুপতি আসিয়া দাড়াইলে তাকে জিজ্ঞাসা করিল, “কাপড় কাচা সাবান আছে ?” ‘আছে বাবু।” “এই বাবুকে একখণ্ড সাবান এনে দাও। জামা কাপড়টা বাড়িতে নিজেই একটু কষ্ট করে কেচে নিও ঘনশ্যাম। গরিব বলে কি নোংরা থাকতে হবে ? পচিশ টাকা ধার চাহিলে, এপর্যন্ত অশ্বিনী তাকে অন্ততঃ পনরোটা টাকা দিয়াছে, তার নিচে কোনদিন নামে নাই। এ অপমানটাই ঘনশ্যামের অসহ্যু মনে হইতে লাগিল। মণিমালাকে বাচানোর জন্য পাঁচটি টাকা দেয়, কি অমার্জিত অসভ্যতা অশ্বিনীর, কি স্পর্ধা ! পথে নামিয়া ট্রাম রাস্তার দিকে চলিতে চলিতে ঘনশ্যাম প্ৰথম টের পায়, তার রাগ হইয়াছে। ট্রামে উঠিয়া বাড়ির দিকে অর্ধেক আগাইয়া যাওয়ার পর সে বুঝিতে পারে, অশ্বিনীর বিরুদ্ধে গভীর বিদ্বেষে বুকের ভিতরটা সত্যিই জ্বালা করিতেছে। এ বিদ্বেষ ঘনশ্যাম অনেকক্ষণ জিয়াইয়া রাখিবো। হয়ত আজ সারাটা দিন, হয়ত কাল পর্যন্ত । ঘনশ্যামেরও একটা বৈঠকখানা আছে। একটু সেঁতসেঁতে এবং ছায়ান্ধকার। তক্তাপোশের ছেড়া শতরঞ্জিতে কিছুক্ষণ বসিয়া থাকিলে দেহ মন জুড়াইয়া যায়, চোখ আর জ্বালা করে না, ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে হয়। মিনিট পনরো ঘনশ্যামের প্ৰতীক্ষায় বসিয়া থাকার পর, তার বন্ধু শ্ৰীনিবাস চিত হইয়া শুইয়া চােখ বুজিয়াছিল। e भानिक युगां°iांक्षांग्रब्र e