পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S Sbo दिग्दर्शका নাড়ী ছাডিয়া যাওয়ার উপক্রম হইয়াছিল শুনিয়া পাঁচটি টাকা সে তাকে দিয়াছে, এক তাড়া দশ টাকার নোটের ভিতর হইতে খুজিয়া বাহির করিয়া পাঁচ টাকার একটি নোট ছুড়িয়া দিয়াছে। আর দিয়াছে একখানা কাপড় কাচা সাবান। চাকরকে দিয়া আনাইয়া দিয়াছে। সন্দেহ ছোট কথা, অশ্বিনী তাকে চোর বলিয়া জানিলেই বা তার ক্ষতি কি ? • বাড়ির সামনে গাড়ি দাড়ানোর শব্দে সে চমকিয় ওঠে। নিশ্চয় অশ্বিনী আসিয়াছে। পুলিস নয়ত ? অশ্বিনীকে বিশ্বাস নাই। ঘড়ি হারাইয়াছে টের পাওয়ামাত্র পশুপতির কাছে খবর শুনিয়া সে হয়ত একেবারে পুলিস লইয়া বাড়ি সার্চ করিতে আসিয়াছে। অশ্বিনী সব পারে । না, অশ্বিনী নয়। নিখিল ডাক্তার মণিমালাকে দেখিতে আসিয়াছে। কিন্তু ঘড়িটা এভাবে কাছে রাখা উচিত নয়। বাড়িতে রাখাও উচিত নয়। ডাক্তার বিদায় হইলেই সে ঘড়িটা বেচিয়া দিয়া আসিবে। যেখানে হোক, যত দামে হোক। নিখিল ডাক্তার মণিমালাকে পরীক্ষা করে, অর্ধেক মন দিয়া ঘনশ্যাম তার প্রশ্নের জবাব দেয় । সোনার ঘড়ি কোথায় বিক্রি করা সহজ ও নিরাপদ তাই সে ভাবিতে থাকে সমস্তক্ষণ । বাহিরের ঘরে গিয়া কিছুক্ষণের সঙ্কেতময় নীরবতার পর নিখিল ডাক্তার গভীর চিন্তিত মুখে যা বলে তার মানে সে প্রথমটা বুঝিয়া উঠিতে পারে না । মণিমালা বঁচিবে না ? কেন বঁাচিবে না ? এখন ত তার টাকার অভাব নাই, যতবার খুশী ডাক্তার আনিয়া চিকিৎসা করাইতে পরিবে। মণিমালার না বঁচিবার কি কারণ থাকিতে পারে! “ভাল করে দেখেছেন ?? বোকার মত প্রশ্ন করা । মাথার মধ্যে সব যেরকম গোলমাল হইয়া যাইতেছে তাতে বোকা না বনিয়াই বা সে কি করে। গোড়ায় ডাক্তার ডাকিলে, সময়মত দু’চারটা ইনজেকশন পড়িলে মণিমালা বঁচিত। তিন-চারদিন আগে ব্রেন কমপ্লিকেশন আরম্ভ হওয়ায় প্রথম দিকে চিকিৎসা আরম্ভ হইলেও বাঁচানোর সম্ভাবনা ছিল । তিন-চারদিন ! মণিমালা যে ক্রমাগত মাথাটা এপাশা ওপাশ করিত, চোখ কপালে তুলিয়া রাখিত, সেটা তবে ব্রেন খারাপ হওয়ার লক্ষণ। রুলি খুলিতে গেলে সে সজ্ঞানে বাধা দেয় নাই, হাতে টান লাগায় আপনা হইতে মুখ বিকৃত করিয়া গলায় বিশ্ৰী ভাঙা ভাঙা আওয়াজ করিয়াছিল। o Aso FAfviklito o