পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

foရèရဲ সকালে দাওয়ায় বসে মদন সারা গায়ে শীতের রোদের সেঁক খাচ্ছিল, হঠাৎ তার পায়ে খোঁচ ধরল। ভীষণভাবে। একেবারে সাত-সাতটা দিন তঁত না চালিয়ে হাতে-পায়ে কোমরো-পিঠে কেমন আড়ষ্ট মত বেতো-ব্যথা ধরেছিল, তাতে আবার গাটে গাটে ঝিলিক-মারা কামড়ানি। সুতো মেলে না, তাত চলে না, বিনা রোগে ব্যারাম ধরার মত হদ করে ফেলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা ধরাবাধা নড়নচড়ন। তঁতে চালানোর কাজে, তার অভাবে শরীরটা মিইয়ে ঝিমিয়ে ব্যথিয়ে ওঠে দু’দিনে, রাতে ঘুম আসে না, মনটা কেমন টনটন করে এক ধরনের উদাসকরা কষ্ট, সব যেন ফুরিয়ে গেছে! যাত্রা শুনতে গিয়ে নিমাই সন্ন্যাসী হয়ে বেরিয়ে যাবার সময় যেমন লাগে তেমনি ধারা কষ্ট, তবে ঢের বেশী জোরালো আর অফুরন্ত। শরীর মনের ওসব উদ্বেগ স’য়ে চুপচাপ থাকে মদন। যা সয় তা সইবে না কেন। সকালে উঠেই মা গেছে বৌকে সঙ্গে নিয়ে বাবুদের বাড়ি। বাড়ির মেয়েদের ধরবে, বাবুর ছোট মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে দু’একখানা ভাল, মদন তাতির নামকরা বিশেষরকম ভাল, কাপড় বুনে দেবার ফরমাশ যদি আদায় করতে পারে। বাবুর বাড়ির বায়না পেলে সুতো অনায়াসে যোগাড় হয়ে যাবে বাবুদেরই কল্যাণে। বাড়িতে ছিল শুধু মদনের মাসী। তার আবার একটা হাত মুলো, শরীরটি প্যাকাটির মত রোগ। মদনের হাউমাউ চিৎকার শুনে সে ছুটে আসে মদনের দু’বছরের ছেলেটাকে কোলে নিয়ে, সঙ্গে আসে মাসীর চার বছরের মেয়ে। মাসীর কি ক্ষমতা আছে এক হাতে টেনে খেচ-ধরা পা ঠিক করে দেয় মদনের। মাসীও চেচায়। মদনের চিৎকারে ভয় পেয়ে ছেলেমেয়ে দুটো আগেই গল । ফাটিয়ে কান্না জুড়েছিল। তখন রাস্তা থেকে ভুবন ঘোষাল এসে ব্যাপারটা বুঝেই গোড়ালির কাছে মদনের পা ধরে কয়েকটা হ্যাচক টান দেয়। আর উরুতে জোরে জোরে থাপড় মারে। যন্ত্রণাটা সামালের মধ্যে আসে মদনের, মুচড়ে মুচড়ে ভেঙে পড়ার বদলে বশে আসে। পাট । e प-मिीडि१झ e