পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৩৬

8 f কথা ? তোমার কথা নয় বুঝতে পারি, সন্তা কাপড় বুনবেই না তুমি, কিন্তু \SS পোষায় না। ওদের । সুতো কি সবাই কেনে, না। কিনতে পারে ? আপনি ত জানেন, বেশীরভাগ দাদন কর্জে তাত চালায়। পড়তা রাখে দিবারাত্তির তীতে চালিয়ে, মুখে রক্ত তুলে। আপনি তাও আদেক করতে চান, পারব কেন মোরা ? নইলে ইদিকে সে পড়তা থাকে না বাপু । কি দরে সুতো কেনা জানো ? ভুবন আপসোসের শ্বাস ফেলে, যাক গে, কি করা। কত্তাকে কত বলে তোমাদের জন্য সুতো বরাদ্দ করিয়েছিলাম, তোমরা না মানলে উপায় কি। বুঝি ত সব কিন্তু দিনকাল পড়েছে। খারাপ, তাত রেখে কোনোমতে টিকে থাকা । নয়। ত দু’দিন বাদে তাত বেচিতে হবে তোমাদের । ভাল সময় যখন আসবে, সুতো মিলবে আবার, তখন মনে পড়বে এই ভুবন ঘোষালের কথা বলে রাখছি, দেখো মিলিয়ে । তখন আপসোস করবে। আমার কথা শুনলে তােতও বজায় থাকত, নিজেরাও টিকতে । র্তত বাধা দিতে বেচিতে হলে মিহিরবাবুর হয়ে ভুবনই কিনবে। সেই ভরসাতেই হয়ত গাট হয়ে বসে আছে লোকটা । কিন্তু সে পৰ্যন্ত কি গড়াবে ? তার আগে হয়ত ভুবনের কাছে সুতো নিয়ে বুনতে শুরু করবে তাতীরা। মাসী এসে ঘুরঘুর করে আশপাশে। বামুনের ছেলে পায়ে হাত দিয়েছে মদনের, গড় হয়ে পায়ের ধুলো নিয়ে ভুবনকে যতক্ষণ সে প্ৰণাম না করছে মাসীর মনে স্বস্তি নেই। মদনের বুঝি খেয়াল হয়নি, ভুলে গেছে। মদনের পা দুটো টান হয়ে ভুবনের পিড়ির দিকে এগিয়ে গেলে মাসীর আর ধৈর্ষ থাকে না। মদনের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে প্ৰণামের কথাটা মনে করিয়ে দেয়। মদন একেবারে খিচড়ে ওঠে, মেয়েটাকে নে না কোলে, কেঁদে মরছে ? মরগে না হেথা থেকে যেথা মরবি ? ছেলেমেয়ে দুটোকে নিয়ে মাসী পালায় । মদনের এ মেজাজ চেনে মাসী । মেয়ে কঁাদছে বলে বকুনি মিছে, ওটা ছুতে। ছেলেপিলে কানের কাছে চেঁচালে মানুষের অশান্তি কেন হবে মাসীও জানে না। মদনও বোকো না । ছেলেমেয়ের কান্না মদনের কানে লাগে না । তঁতের ঠকঠকি, মেয়েদের বকাবিকি, বিবির ডাকের মত। মেজাজটাই বিগড়েছে। মদনের। না করুক প্ৰণাম সে বামুনের a gift quitosis o