পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

პაპად foရဲချွဲ† দাওয়ায় উঠতে টলে পড়বার উপক্রম করে মদনের বেী। খুটি ধরে সামলে নিয়ে ভেতরে চলে যায়, ভেতর থেকে তার উগ্র মন্তব্য আসে : এক পয়সার মুরোদ নেই, গৰ্বো কত! ভুবন সাত্বনা দিয়ে বলে, মেয়ের অমন বলে মদন, ওসব কথায় কান দিতে নেই। তা বলে, বাবুদের বাড়ির মেয়েরাও বলে, তার মা বৌও বলে, উদিও বলে। কিন্তু সব মেয়েরা বলে না। এই তীতীেপাড়ার অনেক মেয়েই বলে না। মদন তঁাতীকে সামনে খাড়া করিয়ে তারা বরং ঝগড়া করে ঘরের পুরুষদের সঙ্গে । মদনও তাত বোনে তারাও র্তত বোনে, পায্যের ধুলোর যুগ্য নয়। তারা মদনের। এক আঙুল গোফ-দাড়ির মধ্যে ভাঙা দাতের হাসি জাগিয়ে মদন শোনায় ভুবনকে। একটা এড়ে তাতীর তেজ আর নিষ্ঠায় একটু খটকাই যেন লাগে ভুবনের। একটু রাগ একটু হিংসার জালাও যেন হয়। সম্প্রতি মিহিরবাবুর তীতের কারবারে জড়িয়ে পড়ার পর সে শুনেছিল এ অঞ্চলের তাঁতী-মহলে একটা কথা চলিত আছে : মদন যখন গামছা বুনবে। গোড়ায় কথাটার মানে ভাল বোঝেনি, পরে টের পেয়েছিল, সুৰ্য যখন পশ্চিমে উঠবে-এর বদলে ওই কথাটা এদিকের তাতীরা ব্যবহার করে। সে জানে, মদন যদি তার কাছ থেকে সুতো নিয়ে কাপড় বুনে দিতে রাজী হয়। আজ, কাল তাঁতীপান্ডার বেশীরভাগ লোক ছুটে আসবে তার কাছে সুতোর জন্য । বড় খামখেয়ালী একওঁয়ে লোকটা, এই রাগে, এই হাসে, হা হুতাশ কবে, এই লম্বাচওড়া কথা কয় যেন ब्रांद्यांशशद्धांख्रि ! উঠবার সময় ভুবনের মনে হয়। ঘর থেকে যেন একটা গোঙানির আওয়াজ ८ ५ऽव् ) তার পরেই মাসীর গলা ; ও মদন, দ্যাখসে বৌ কেমন করছে। ভুবন গিয়ে উদিকে পাঠিয়ে দেয় খবর নিতে। বেলা হয়েছে তার বেরিয়ে পড়া দরকার, কাজ অনেক । কিন্তু মদনের ঘরের খবরটা না জেনে যেতে পারে না । তেমন একটা বিপদ ঘাড়ে চাপলে মদন হয়ত ভাঙতে পারে। উদির জন্য অপেক্ষা করতে করতে সে বিরক্ত হয়ে ওঠে। ও ছুড়ীর বড় বাড়াবাড়ি আছে সব বিষয়ে, খবর আনতে গিয়ে হয়ত সেবা করতেই লেগে গেছে। মদনের বৌয়ের। কি হয়েছে। মদনের বৌয়ের ? কি হতে পারে? গুরুতর কিছু যদি হয়--- O afr Kyo o