পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহত্তর-মহত্তর স্নেহ, প্ৰেম, মমতা, মানুষের নাগপাশ । নাগপাশে মুছার তন্ত্রা। সে নাগপাশে আবদ্ধ থেকেও যে মোহনিদ্রা টুটিয়ে দিলে, বঁাধনৰুদ্ধ যে বেরিয়ে পড়ল পথে, পাশবন্ধ কর্মশক্তি নিয়ে যে সকলের জন্য যে-বিপুল কাজ পড়ে আছে তার নিজের ভাগটুকু শেষ করতে প্ৰবৃত্ত হল তাকে বোঝা যায় না। সে দুর্বোধ্য ; তাকে ঘিরে রহস্য। মমতাদির শান্ত ও গভীর মুখ দেখে আমার মনে হল, রাধুনীর কাজ নিতে এসে যে আমার শেষ শৈশবে স্নেহ-করার শক্তিতে রহস্যময়ী হয়ে উঠেছিল, আজ আমার প্রথম যৌবনে সে আবার স্নেহ অস্বীকার করার শক্তিতে রহস্যময়ী হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যার সময় বিদায় নিলাম-প্ৰদীপ জ্বালার আগে । সে বললে, তোমায় একটা কাজ দেব । कि काछ ? সপ্তাহে একখানা কার্ড লিখে। ওদের খবর দেবে। কি খবর ? কুশল ? হু, বলে সে চোখ মুছতে মুছতে হাসল। বলচ ওদের। ওদের মানে কি তোমার স্বামীরও ? নিশ্চয়। আধখানা কুশল সংবাদ নিয়ে করব কি ? স্বামী-ভাগ একেবারে আধখানা ! একটা স্পষ্ট কথা জিজ্ঞেস করাচি। স্বামীকে তুমি ভালবাসতে ?-ব্যস। সে একটু ভাবল, ভালবাসা ? প্ৰেম ? কি জানি ভাই, ওসব বুঝি না। এইটুকু বুঝি যে না দেখলে মন কেমন করে, খবর জানতে ইচ্ছা হয়। এগার বছর যার ঘর করা যায় তার হীনতা বোধ হয় স্নেহ মমতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে 石{ 1 আজ ঠিক করতে পারি না তার স্বামিপ্রেম ছিল কি ছিল না। व-निदीक्ति अछा