পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6. পূর্ববঙ্গের মহকুমা শহর। শহর সন্দেহ নেই, তবে বিশুদ্ধ নয়। গ্রামের খাদ আছে। চারিদিক ঘুরে এলে মনে হয়। এ যেন শহর আর গ্রামের আলিঙ্গনবন্ধ মূতি। বাজার আর আপিস অঞ্চলটুকু দিব্যি শহর। আপটুডেট বাজার-কলকাতায় BBD DDB DDD DBDD DDB BBDB BDB BDB BBD DBDB দোকানগুলিতে আত্মপ্ৰকাশ করে। একটিমাত্র বঁাধানে রাস্তা, মাইলখানেক লম্বা, -বাজারের বুক ভেদ করে, আদালতের গা ঘোষে গিয়ে মাটির রাস্তায় আত্মগোপন করেছে। বাজারের কাছে ছোট ছোট কয়েকটা শাখাও আছে। বাজারের কিছু দূরে পাকা রাস্তার ধারে একটি হাইস্কুল। কাছাকাছি পাবলিক লাইব্রেরী, টাউন হল, অফিসারদের ক্লাব, ক্লাব-সংলগ্ন টেনিস-কোট ইত্যাদি। অভাব নেই কিছুরই। শহর। যেমন হয়। আর কি ! বাকীটুকু কিন্তু গ্ৰামছাড়া কিছু নয়। বাড়ি ঘর সবই প্ৰায় চাচের বেড়া এবং টিনের ছাদ দেওয়া। কোন কোনটার ভিটেটুকু মাত্র পাকা বঁধানো। শুধু তাই নয়, গ্রামের যা প্ৰধান প্ৰধান লক্ষণ, প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড আম কঁাটালের বাগান, পুকুর, ডোবা, ঝোপ ঝাড় জঙ্গল, বেতবনা থেকে আরম্ভ করে সাপ, ব্যাঙ, শিয়াল, বেজী এবং টিকটিকির রাজসংস্করণ গোসাপ পৰ্যন্ত সমস্তই আছে। শহরের পশ্চিম প্রান্তে আগাগোড়া চুনকাম-করা একটি পাকা বাড়ি। বাড়িটা বরাবর স্থানীয় প্রথম মুন্সেফ দখল করে থাকেন। এখন আছেন হেমন্ত মুখার্জি। DBB BBB BBDD Ei BDDBS DDD DBB BD DDD একটি পুকুর। এ গল্পের আৱম্ভ ওইখানে, একদিন বেলা প্ৰায় দশটার সময়। যোল সতর বছরের একটি মেয়ে স্নান করছিল। পুকুরের চারিদিকে প্রকৃতির নিজের হাতে গড়া গাছপাতায় প্রাচীর। এত ঘন যে আট দশ হাতের ভেতরে এলেও বুঝতে পারা যায় না। এখানে পুকুর আছে। আশেপাশে বাড়িঘরও বেশী নেই-একান্ত নির্জন। মেয়েটির শঙ্কা ছিল না, নিত্যকার মত সমস্ত পুকুরটা সঁতরে এসে নিশ্চিন্তচিত্তে অদমার্জনা করছিল। হঠাৎ ওপারে নজর পড়তে দেখল, o frys gwyliwtig on