পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नरौ R নেকীর মুখ মান হয়ে গেল, কথা খুজে না পেয়ে বললে, তাড়িয়ে দিচ্ছেন ? না, না, তাড়াবা কেন? অতখানি অভয়তা করতে পারি আপনার সঙ্গে ? আমার বলবার উদ্দেশ্য-অশোক থেমে গেল । উদ্দেশ্য ? r উদ্দেশ্য মরুক। আসল কথা কি জানেন, আপনাকে আমি ভয় করি। হয়ত বলে বসবেন, একলা পেয়ে আপনাকে আমি অপমান করেছি। বাকীও তা রাখলেন না কিছু। এ অপমান নয়, অন্য রকম । অভদ্র উক্তি, কুৎসিত ইঙ্গিত ! চারিদিকের নির্জনতা অন্য ব্লকম অপমানের অর্থটাকে এমনি ক্ষুটতর করে তুলল যে, অপমানে নেকীর মুখ লাল হয়ে উঠল। বই দুটি মেঝের ওপর ছুড়ে দিয়ে বললে, আপনি চাষা। নিজের মনে ময়লা থাকলে সমস্ত পৃথিবীটাকে কালো দেখায়। স্নানের ঘাটেই পরিচয় পেয়েছি। বলে ঝড়ের মত চলে গেল । মিথ্যা অপবাদের জালা আছে, তাতে রাগ হওয়াটাও আশ্চৰ্য নয়। কিন্তু এইবার অশোক স্পষ্ট উপলব্ধি করল, সে ভুল করেছে। শ্ৰদ্ধা। যার প্রাপ্য তাকে দিয়েছে অপমান। সে না হয় নজর দিতে যায়নি, কিন্তু আমন কি কেউ যায় না ? বাঙালীর মেয়ে, লজ্জায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে গিয়ে কোন রকমে ক্ষুধিত দৃষ্টির সম্মুখ থেকে নিজের দেহটা সরিয়ে নিয়ে যায়। অমন মুখোমুখি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে পারে কটি মেয়ে ? ঘূণায় নাসিক কুঞ্চিত করে কটি মেয়ে 'একান্ত নির্জনে একজন অপরিচিত যুবকের মুখের ওপর বলতে পারে, আপনি গরু, মহিষ, আপনাকে আমি লজা করব না ? আজ তুচ্ছ আত্মাভিমানের বশে সেই মেয়েটিকেই সে অপমান করেছে। তাও সে যখন ক্ষমা চেয়েছে তখন। বিকালে দুভাইকে খাবার দিয়ে মা বললেন, তোর নেকী দি দুদিন এল না। কেন রে পুলক ? পুলক আমে কামড় দিয়েছিল, আমাটা সরিয়ে সংক্ষেপে জবাব দিল, দাদা বকেছে। বলে আবার আমাটা মুখে তুলল। দাদা বকেছে! সত্যি নাকি রে অশোক ? আবার ঝগড়া হয়েছে তোদের ? কি হয়েছিল ? e V-fits o