পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেকী 总° রকম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দেখে দাড়াবার সাহস হল না। আর দ্বিতীয় পথেয় সন্ধান ত সে রাখে না ! অন্য সময় ঘণ্টাখানেক ধরে খুজে অন্যদিক দিয়ে ঘুরে যাবার ভাল। রাস্তা আবিষ্কার করা হয়ত সম্ভব হত, কিন্তু এখন সারা রাত ধরে খুঁজলেও যে সে পথের খবর মিলবে না তা ঠিক। আমি বাগান ছাড়া পথ নেই। কঁচা-পাকা ঢ়ের ফল গাছগুলি খাইয়েছে, আজ যদি নিতান্তই চাপা দেয় কি আর করা যাবে! পিছন থেকে মহা কলরব করতে করতে ঝড় এসে অশোককে এমনি জোরে ধাক্কা দিল যে, মুখ থুবড়ে পড়তে পড়তে কোন রকমে সামলে নিল। আর জোরে চলবার চেষ্টা করবার প্রয়োজন হ’ল না, বাতাসেই অশোককে ঠেলে নিয়ে চলল। ঠিক যেন ভোজবাজি শুরু হয়ে গেল। চিরকাল মাথা উঁচু করেই আছে, কিন্তু গাছগুলি পৰ্যন্ত সটান শুয়ে পড়বার জন্য আকুলি-ব্যাকুলি শুরু করে দিল। লাখখানেক ঢাক ঢোল বাজিয়ে প্রকৃতি যেন বিন্দকুটে রকমের ওয়ার-ডান্স আরম্ভ করে। দিল, সব ভেঙে চুরমার করে ঠাণ্ডা হবে। মেঘের সংযম রইল না, ফোটা ছেড়ে ধারাপাত আরম্ভ হয়ে গেল। সেই পতনশীল বারিধারা নিয়ে পাগলা হাওয়া এমনি খেলা শুরু করে দিল যে, দেহের অনাবৃত অংশের স্পর্শেন্দ্ৰিয় দিয়ে এবং বিদ্যুতের আলোতে দর্শনেন্দ্ৰিয় দিয়ে ভাল করে অনুভব করে অশোকের ইচ্ছে হতে লাগল। সেই মাঠের ভেতরই মুখ গুজে শুয়ে পড়ে। ঝড়ের শব্দ ত আছেই, তার ওপরে আকাশে মেঘেদের অজস্ৰ চকমকি খুঁকে আলো জালবার অবিশ্রাম চেষ্টায় ক্রমাগত যে আওয়াজ হতে লাগল তাতে অশোকের শ্রবণেন্দ্ৰিয় শব্দাহারা হয়ে পড়বার উপক্রম করল। আমি বাগানের শেষ প্ৰান্তে হৃদয় মোক্তারের বাড়ি, অশোকের পথ তার রান্নাঘরের পাশ দিয়ে। চাচের বেড়ার গায় বসানো জানালার পাশে আসতেই সুতীক্ষ কণ্ঠ শোনা গেল-অশোকবাবু, দাঁড়ান। অশোক থমকে দাঁড়াল। নেকী অশোকের প্রতীক্ষাতেই রান্নাঘরের জানালায় চোখ রেখে দাড়িয়েছিল, ডাক দিয়েই বাইরে বেরিয়ে অশোকের কাছে গিয়ে দাঁড়াল। বললে, গলাচিরে ডেকেছি, যে শব্দ। ভাবলাম বুঝি শুনতেই পাবেন না। ঘরে চলুন। न । भl ggदन । অশোকের পথ আগলে দাড়িয়ে নেকী বললে, বাগানের ভেতর দিয়ে তা যাওয়া স্বাবে না, এর ভেতরেই তিন চারটি গাছ পড়ে গেছে শব্দ শুনেছি। দাড়াবেন না, আনুন। e -fifts we