পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৩৮

Ra নেকী অশোক তবু দ্বিধা করল, কিন্তু মা যে পাগল হয়ে উঠবেন। নেকী ব্যাকুল হয়ে বললে, সে অল্পক্ষণের জন্য, কিন্তু যদি গাছ চাপা পড়েন। সত্যি সত্যি পাগল হয়ে যাবেন। বলে হাত জোড় করে বললে, অন্য সময় যত পারেন। রাগ করবেন, আপনার পায়ে পড়ি চলুন। আকাশে বিদ্যুৎ চমকে গেল, সেই আলোতে নেকীর মুখের যে ব্যাকুল ভাবটা অশোকের চোখে পড়ল তাতে আর দ্বিধা করবার অবকাশ রইল না। বললে, চলুন। নেকী অশোককে পথ দেখিয়ে রান্নাঘরের পাশ দিয়ে উঠান পার হয়ে বড় ঘরের দাওয়ায় উঠল। দরজায় বাহির থেকে শিকল লাগানো ছিল, ক্ষিপ্ৰহন্তে শিকল খুলে ফেললে। ঘরে প্রদীপ জলছিল, দরজা খুলতেই বাতাসোনিবে গেল। অশোককে হাত ধরে ঘরের ভেতর নিয়ে গিয়ে নেকী বললে, দাড়ান, আলো জলছি। ঘরের একদিকের তাক হাতড়ে একটা ল্যাম্প নিয়ে এসে বললে, আপনার কাছে দেশলাই আছে ? সিগারেট খান না ? 可计日 খুব ভাল ছেলে তা ! নাঃ, আপনার সঙ্গে তা হলে পারা গেল না দেখাচি । রান্নাঘরেই যেতে হল, থাকুন। অন্ধকারে চুপটি করে দাড়িয়ে। বলে নেকী বাইরে Bርማ Cዓjማ ! দেশলাই নিয়ে ফিরে এসে চৌকাঠের বাইরে দাড়িয়েই বললে, হাত বাডিয়ে দেশলাই নিয়ে আলোটা জেলে ফেলুন। অশোকবাবু। একবার ত দুজনেই খানিকটা করে জল ঢেলেছি, সর্বঙ্গে যে রকম ধারা বইছে, এবার ঘরে ঢুকলে মেঝেতে নদী বয়ে যাবে। নিকবি-কালো আঁধার, কিন্তু তারই ভেতর নেকীর হাতের দুর্গাছি সোনার চুড়ি রান্নাঘরের অদৃশ্যপ্ৰায় আলোয় চিকচিক করছিল। দেশলাই নিয়ে অশোক একটা কাঠি জালিয়ে বললে, একেবারে ভিজে গেছেন যে! সেটা উভয়ত: ; পরে দুঃখ করা যাবে, বাতিটা জালুন। আলো জেলে অশোক বললে, মেঝেটিা সত্যিই ভেসেছে। তাহােক, মুছে নিলেই হবে। আলনা থেকে লালপোড়ে শাড়ীটা দিন। বাঙ্গ না খুললে আবার আপনার কাপড় জুটবে না। o sisär varptyksi o