পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

atë C6博 পাইবে, তবু ইহা ভালবাসাই) মনে মনে মধু নিজের জীবনের সঙ্গে সংসারে যারা চাের নয় তাহাদের জীবনের তুলনা করিল। হিংসায় ক্ষোভে হতাশায় সে জর্জরিত হইয়া গেল। ভাবিল, ফিরিয়া যায়। কাজ নাই তাহার চুরি করিয়া। ফিরিয়া গিয়া নতুন করিয়া জীবন আরম্ভ করে। সংযত সুন্দর পবিত্র জীবন। ঈশ্বরকে আর কি ভক্তি করা যায় না ? কাদুকে শেখানো যায় না লোভ করিতে নাই, নোংরা থাকিতে নাই, অবাধ্য হইতে নাই, কলহ করিতে নাই ? সোনায় চুড়ির চেয়ে রূপারচুড়িতে সুখ বেশী এ কি কাদুকে বোঝানো যায় না ? পরকালের কথা ভাবিয়া পরদ্রব্যে লোভ করা কি তাহারা দুইজনে বন্ধ করিতে পারে না ? সে মজুর খাটিবে। গরু কিনিয়া দুধ বেচিবে। জমি কিনিয়া চাষ করিবে। না হয়। গ্রামের মধ্যে মনোহারী দোকান দিবে। স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলিয়া তাহারা মন্ত্র গ্ৰহণ করিবে। সকালে উঠিয়া দিনের দেবতাকে প্ৰণাম করিয়া সন্ধ্যা পৰ্যন্ত জীবিকার্জনের জন্য খাটিয়া সন্ধ্যার পর একাগ্ৰচিত্তে তাহারা মালাজপ করিবে । আস্তে কথা কহিতে শিখিবো। দুঃখে বিচলিত হইবে না। হৃদয়ের শান্তিতে সকল অবস্থায় শান্ত হইয়া থাকিৰে। কাদুর একটি ছেলে নষ্ট হইয়া গিয়াছে, - কাদুয়াই অসাবধানতায় । এবার ছেলে-মেয়ে হইলে বঁচিবে । তাহদের লইয়া সুখে তাহারা ঘর-সংসার করিবে । এতকাল সে ত চুরি করিয়াছে। চুরি করিয়া লাভ কোথায় ? প্রত্যেক চাের মধ্যে মধ্যে নিজেকে এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু তবু চুরি করিতে ছাড়ে না। চোর চুরি না করিয়া করিবে কি ? চুরি ছাড়া চোরেন্থ জীবনে আর সবই যে আকাশকুসুম। মধুর এত অনুতাপ, রাখালের মেয়ের জন্য এত ভালবাসা, সৎ হওয়ার এত ব্যাকুল আকাজক্ষা কিছুক্ষণের মধ্যেই মিলাইয়া আসিল। রাখালের তোরঙ্গটি সিধের ফাক দিয়া একটু পরে চলিয়া গেল বাহিরে। বেশী টাকা রাখিবার উপযুক্ত ওই একটি তোরঙ্গই রাখালের ছিল। কিছুদূরে একটি আমবাগানে ঢুকিয়া মধু তোরঙ্গটি ভাঙিল। রাখালের বোধ হয় টাকা রাখিবার থলি ছিল না, নোট আর টাকাগুলি সে একটা বালিশের খোলে ভরিয়া বাক্সে রাখিয়াছিল। অনেকগুলি খুচরা টাকা থাকায় টাকার পুটুলিটি কম ভারী হয় নাই। হাতে করিয়া আনন্দে মধুর মন নাচিয়া উঠিল। খাল পার হওয়ার সময় একবার তার মনে হইল, টাকার অভাবে য়াখাল হয়ত o zijft verg vijftig en